
সদ্য বাবা-মা হয়েছেন, কিন্তু তারপর সন্তানের ক্ষতি এড়াতে কিছু ভুল করা থেকে সতর্ক হন নিজেরাই। যেমন: অতিরিক্ত শাসন করা বা একেবারেই গুরুত্ব না দেওয়া, সন্তানের সামনে উচ্চমাত্রায় ঝগড়া করা, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং সন্তানের কথা না শোনা। এই ভুলগুলো সন্তানের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, তাই এগুলি এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত শাসন বা অবহেলা: সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত কঠোর হওয়া বা একেবারেই গুরুত্ব না দেওয়া দুটোই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কঠোরতা তাদের মানসিক বিকাশে বাধা দেয়, আবার অবহেলা তাদের মনে ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করতে পারে।
সন্তানের সামনে ঝগড়া করা: বাবা-মায়ের মধ্যে উচ্চমাত্রার দ্বন্দ্ব বা ঝগড়া শিশুদের মানসিক, সামাজিক এবং আচরণগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি তাদের মনোযোগ এবং শিক্ষাগত সাফল্যেও বাধা সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা: সন্তানের পিছনে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ বা দামি উপহার দেওয়া উচিত নয়। তাদের আপনার সময় ও মনোযোগ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অর্থের চেয়ে ভালো স্মৃতি এবং মূল্যবোধ তৈরি করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সন্তানের কথা না শোনা: অনেক সময় বাবা-মা তাদের সন্তানের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনেন না। এতে সন্তানের মনে হয় যে তাদের মতামত বা অনুভূতি মূল্যহীন। প্রতিদিন তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তাদের প্রতি আপনার আগ্রহ দেখান।
ভুল স্বীকার না করা: যখন বাবা-মা নিজেরা ভুল করেন, তখন তা স্বীকার না করে বরং সন্তানের উপর দোষ চাপিয়ে দেন। এতে সন্তানের মনে বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব হতে পারে এবং তারা নিজেদের ভুল থেকে শেখার সুযোগ পায় না।
অযথা অপমান করা: যখন তারা কোনো ভুল করে, তখন তাদের 'বোকা' বা অন্য কোনোভাবে অপমান করা উচিত নয়। এটি তাদের আত্মসম্মানে আঘাত করে। তাদের ভুল থেকে শেখানোর জন্য সঠিক পদ্ধতিতে বুঝিয়ে বলা প্রয়োজন।
দায়িত্ব না দেওয়া: অনেক অভিভাবক ভাবেন যে তাদের সন্তান খুব ছোট এবং তারা কোনো দায়িত্ব নিতে পারে না। কিন্তু ছোট থেকেই তাদের ছোটখাটো দায়িত্ব দেওয়া উচিত, যেমন নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা বা নিজের কাজ নিজে করা।