
Parenting tips from Ramayana : পিতার সম্মান রক্ষা করার জন্য রাম বনবাস করেছিলেন, ভাইয়ের সাথে থাকার জন্য লক্ষ্মণ রাজপাট ত্যাগ করেছিলেন, স্বামীর সাথে থাকার জন্য সীতা প্রাসাদ ত্যাগ করেছিলেন এবং ভক্তি প্রদর্শনের জন্য হনুমান সমুদ্র অতিক্রম করেছিলেন। রামায়ণ এমন একটি গ্রন্থ যা সম্পর্ক, আবেগ এবং মূল্যবোধের প্রকৃত শিক্ষা দেয়। এটি থেকে আপনি নিজের মধ্যে এমন কিছু গুণ বিকাশ করতে পারেন যা আপনার সন্তানদের সঠিকভাবে লালন-পালনে সহায়তা করবে। আসুন জেনে নেই ৭ টি টিপস:
১. জীবন থেকে শেখান, কেবল উপদেশ নয়
ভগবান রাম সারা জীবন ধর্ম পালন করেছেন। শিশুদের কেবল উপদেশ দেবেন না, বরং নিজেই সেই অনুযায়ী আচরণ করুন। শিশুরা তাদের বাবা-মাকে যা করতে দেখে তাই শেখে।
২. কঠিন সময় থেকে ভয় পেতে শেখাবেন না
রাম বনবাসের সময় কখনও অভিযোগ করেননি, বরং সাহসের সাথে মোকাবিলা করেছেন। শিশুদের বলুন যে কঠিন সময় জীবনের অংশ এবং এগুলি থেকেই সবচেয়ে বড় শিক্ষা পাওয়া যায়।
৩. নৈতিকতার ভিত্তি মজবুত করুন
রাম সব পরিস্থিতিতেই ধর্ম ও সত্যের পথ অনুসরণ করেছেন। শিশুদের এমন নৈতিক দিকনির্দেশনা দিন যাতে তারা সব পরিস্থিতিতেই সঠিক পথ বেছে নিতে পারে। নৈতিকতা জীবনের ভিত্তি মজবুত করে।
৪. আবেগকে দুর্বলতা নয়, শক্তি হিসেবে গড়ে তুলুন
সীতা মাতা সব পরিস্থিতিতেই মানসিক শক্তি দেখিয়েছেন। শিশুদের আবেগগত বোঝাপড়া এবং ভারসাম্য শেখান, যাতে তারা চাপের মধ্যেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। রামের সাথে বনবাসে যাওয়া থেকে শুরু করে অগ্নিপরীক্ষা দেওয়া পর্যন্ত সীতা মাতা নিজেকে দৃঢ় রেখেছিলেন।
৫. ভাই-বোনের সম্পর্ক মজবুত করুন
রাম-লক্ষ্মণের সম্পর্ক আদর্শ। শিশুদের বোঝান যে ভাই-বোন সারা জীবনের সঙ্গী, “তুই আমার রাম আর আমি তোর লক্ষ্মণ।”
বড়দের সম্মান করতে শেখান
রাম পিতা দশরথের আদেশ পালন করে বনবাস গ্রহণ করেছিলেন। শিশুদের বড়দের প্রতি সম্মান এবং আনুগত্যের গুরুত্ব শেখান এবং এটি তখনই হবে যখন আপনি নিজেই এটি পালন করবেন।
৭. সত্যিকারের বন্ধুত্বের গুরুত্ব বোঝান
হনুমানের মতো সত্যিকারের বন্ধু বেছে নিতে শেখান যিনি নির্ভীক, বিশ্বস্ত এবং বুদ্ধিমান। এমন বন্ধুরা জীবনের প্রতিটি মোড়ে সহায়ক হন। হনুমান রাম ও লক্ষ্মণের সাথে থাকার জন্য প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছিলেন।