
আজকাল বাচ্চাদের সামলানো সহজ নয়। তারা যা চায় তা-ই চায়। না পেলে চিৎকার করে, বাড়ি মাথায় করে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেমন বাবা-মা ডাক্তারের কাছে যান, তেমনি বাচ্চাদের রাগের সমস্যা নিয়েও অনেকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। কারণ বাচ্চাদের রাগ সামলানো কঠিন। এমন বাচ্চাদের রাগ কমানোর কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক।
বাচ্চাদের রাগ বাড়ার পেছনে বাবা-মায়ের ভূমিকা থাকতে পারে। আগের মতো এখন বাচ্চারা বাইরে খেলাধুলা করে না। বাবা-মা তাদের খেলতে দেন না, পড়ে গেলে ব্যথা পাবে ভেবে। অনেকে সময় নষ্ট ভেবে বাচ্চাদের কোনও না কোনও ক্লাসে ভর্তি করে দেন। নিজের ইচ্ছামতো কিছু করতে না পারার ক্ষোভ থেকেও বাচ্চাদের রাগ হতে পারে। তাই বাচ্চারা যদি বন্ধুদের সাথে বা পাড়ার বাচ্চাদের সাথে খেলতে চায়, তাদের খেলতে দিন। তবে তাদের উপর নজর রাখুন।
ছোটবেলায় বাচ্চারা অনেক দুষ্টুমি করে, প্রশ্ন করে। তাদের কাজে আপনার রাগ হতে পারে। কিন্তু তাদের উপর রাগ দেখাবেন না। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন, তাদের বোঝার মতো করে। এতে করে বাচ্চারা আপনার সাথে সবকিছু শেয়ার করবে। বাবা-মা রাগ করবেন ভেবে তারা কিছু বলতে ভয় পাবে না। বাচ্চারা যখন মনে করে তাদের প্রশ্ন করার স্বাধীনতা নেই, তখন তাদের রাগ হয়। তাই বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে।
পড়াশোনায় প্রতিযোগিতার কারণে অনেক বাবা-মা বাচ্চাদের পড়তে জোর করেন। কিন্তু বাচ্চার যদি পড়তে ইচ্ছা না করে, তাকে বুঝিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করুন। জোর করলে বাচ্চারা চাপ অনুভব করবে। পড়াশোনা জরুরি, কিন্তু তা যেন বাচ্চাদের জন্য বোঝা না হয়ে ওঠে।
আমরা ছোটবেলায় মোবাইল ব্যবহার করতাম না। কিন্তু এখন বাচ্চারা সারাদিন মোবাইলে ব্যস্ত। বেশি মোবাইল ব্যবহারও বাচ্চাদের রাগ বাড়ায়। তাই যতটা সম্ভব বাচ্চাদের মোবাইল থেকে দূরে রাখুন।
বাচ্চারা যা চায় তাই কিনে দেওয়া ভুল নয়, যদি তা তাদের উপকারে আসে। কিন্তু সবকিছু কিনে দিতে পারবেন না। বাচ্চাদের বুঝিয়ে সামলাতে শিখুন। টাকা-পয়সার সমস্যা বা অন্য কোনও কারণে বাচ্চাদের সব দাবি পূরণ করতে না পারলে তারা রেগে যেতে পারে। বাচ্চাদের ভালবাসার পাশাপাশি তাদের বোঝাও জরুরি।