Protect your children: গরমে বাড়ছে স্ক্যাবিসের প্রকোপ, কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার বাচ্চাকে?

Published : May 23, 2025, 05:32 PM IST
baby care

সংক্ষিপ্ত

Protect your children: গ্রীষ্মকালে বাচ্চাদের স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকলেও সচেতনতা ও নিয়মিত পরিচর্যায় তা সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। সময়মতো চিকিৎসা না করালে একজন থেকে বাড়ির সকল সদস্যের মধ্যে ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ।

Protect your children: গরমকালে আপনার বাচ্চার গায়ে হঠাৎ জল ভরা ফুসকুড়ি, লাল ৱ্যাশ ও চুলকানি দেখতে পেলে ভয় পাবেন না, আবার গরম কালের সামান্য ত্বকের সমস্যা ভেবেও ভুল করবেন না। যদি দেখেন সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে বুঝতে হবে 'স্ক্যাবিস' হতে পারে। ইচ্ছামত বেবি পাউডার বা ক্রিম মাখালে সংক্রমণ আরও খারাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গবেষণা বলে, শিশুদের ত্বক স্পর্শকাতর হওয়ায় গ্রীষ্মকালে তাদের ত্বকে পরজীবীর আক্রমণে এই ধরনের সংক্রমণ বা স্ক্যাবিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

স্ক্যাবিস কেন হয়?

চিকিৎসকেরা বলেন, স্ক্যাবিস আসলে অতি ক্ষুদ্র পোকা-মাকড়ের কামড়ের কারণে হয়ে থাকে, যেগুলিকে সাধারণ চোখে দেখা অসম্ভব। কিন্তু একবার মানুষের শরীরের সংস্পর্শে আসলে এই সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকে। কারণ পোকাগুলি ডিম পারে এবং তা থেকে বংশবিস্তার করে সংক্রমণ বাড়াতে থাকে। যে অংশে সংক্রমণ হয়, সেখানে লাল ৱ্যাশ, জলভরা ফুসকুড়ি ও অসম্ভব চুলকানি হয়। অতিরিক্ত চুলকোতে থাকলে রক্তপাতও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাড়ির কোনো খুদে বা প্রাপ্ত বয়স্ক কারণ এই রোগ হলে সংক্রমণ অন্যদের মধ্যেও দ্রুত ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। সময়মতো প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না হলে সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে।

কোথায় কোথায় স্ক্যাবিস হতে পারে?

মাথা, মুখ, আঙ্গুলের ফাঁকে, কনুইয়ের ভাঁজে, হাঁটুর ভাঁজে, হাতের তালু, পায়ের পাতা, পেট, বুক, স্তনবৃন্ত, নিতম্ব, যৌনঙ্গ ইত্যাদি জায়গায় হতে পারে স্ক্যাবিস।

কী করে বুঝবেন আপনার বাচ্চার স্ক্যাবিস হয়েছে কিনা?

* তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বেশি হয়। * ত্বকে লাল ফুসকুড়ি বা দানা, অনেক সময় সরু রেখার মতো দাগ হয়ে যায়। * আঙুলের ফাঁকে, কবজি, কনুই, নাভির চারপাশ, পায়ের পাতায় বেশি দেখা যায়। * ঘুমের ব্যাঘাত, ফলে খিটখিটে মেজাজ হয়ে থাকে। * চুলকাতে চুলকাতে ত্বক ক্ষত হয়ে যেতে পারে।

চিকিৎসার উপায় ও সাবধানতা

স্ক্যাবিস হলে বাড়িতেই বেবি পাউডার ক্রিম বা লোশন মাখিয়ে তা কমানোর চেষ্টা করবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকরা সাধারণত স্ক্যাবিস নিরোধক ওষুধ যেমন পারমেথ্রিন ৫% ক্রিম দিয়ে থাকেন। ওষুধটি সম্পূর্ণ শরীরে লাগিয়ে ৮–১০ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলা হয়। চুলকানি কমানোর জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধও দেওয়া হয়। তবে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হতে মাসখানেক সময়ও লেগে যেতে পারে।

খুব সাধারণ এই চর্মরোগ দীর্ঘদিন অচিকিৎসার ফলে জটিল ত্বকের সমস্যার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। তাই নিয়মিত কিছু সাধারন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই শোধ করা যায় এই সংক্রমণ হওয়াকে। সাধারণত বাচ্চাদেরকে ফুল বা খেলাধুলা করে ফেরার পর স্নান করিয়ে নিন। এই সময় গরম জলে স্নান করানোই শ্রেয়। বাচ্চাদের এমনকি বড়দেরও ময়লা কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ফুটন্ত জলে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। বাচ্চাদের তাদের নিজস্ব তোয়ালে ব্যবহার করান। বাড়ির একজন সদস্য আক্রান্ত হলে সকলের সাবধানতা মেনে চলা জরুরী প্রয়োজনে আগে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে এমন সাতটি সুপারফুড
শীতকালে বেশিরভাগ শিশুই গা থেকে কম্বল সরিয়ে দেয়, কিন্তু কেন জানেন কি?