
Parenting Tips: শিশুর মধ্যে অসুস্থতার স্পষ্ট লক্ষণ না থাকলেও ঝিমিয়ে পড়া একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে এবং এটিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। এর কারণ হতে পারে সংক্রমণ, ডিহাইড্রেশন, বা অন্য কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যগত সমস্যা। শিশুর আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখলে, যেমন অতিরিক্ত কান্না বা ঘুমানো, ত্বকের রঙ পরিবর্তন, বা স্বাভাবিক কাজকর্মে অনীহা দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
* সংক্রমণ: জ্বর না থাকা সত্ত্বেও সংক্রমণ হতে পারে। শিশুর আচরণে পরিবর্তন, যেমন অতিরিক্ত কান্নাকাটি বা বেশি ঘুমানো, এর কারণ হতে পারে।
* অতিরিক্ত ক্লান্তি বা ঝিমিয়ে পড়া: শিশু যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঝিমিয়ে থাকে বা ক্লান্ত বোধ করে, তবে এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
* ত্বকের রঙে পরিবর্তন: শিশুর ত্বক ফ্যাকাশে, বা দাগযুক্ত/বেগুনি বা লাল ছোপ ছোপ দাগ দেখা গেলে তা অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত, কারণ এটি সেপসিসের লক্ষণ হতে পারে।
* খাবার বা কিছু পানে অনীহা: শিশু যদি স্বাভাবিকভাবে খেতে বা পান করতে অস্বীকার করে, তাহলে এটি ডিহাইড্রেশন বা অন্য কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
* অস্বাভাবিক আচরণ: যদি শিশু তার সাধারণ কাজগুলোতে আগ্রহ না দেখায় বা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে, তাহলে এটি অসুস্থতার একটি ইঙ্গিত হতে পারে।
* শ্বাসকষ্ট: শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া একটি জরুরি অবস্থা এবং এর জন্য অবিলম্বে চিকিৎসকের সাহায্য প্রয়োজন।
* অন্যান্য জরুরি লক্ষণ: যদি শিশুর মধ্যে গুরুতর ব্যথা থাকে যা কমছে না, বা বারবার বমি হয়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন যদি আপনার শিশুর বয়স এক মাসের কম হয় এবং আপনি সংক্রমণের কোনো লক্ষণ দেখতে পান, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। যদি শিশুর মধ্যে উপরের যেকোনো একটি বা একাধিক লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
* জরুরি অবস্থায় করণীয় : যদি আপনার শিশু জরুরি অবস্থায় থাকে, যেমন শ্বাসকষ্ট বা গুরুতর ব্যথা হয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যান বা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কল করুন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।