নিজেকে ভাল না বাসলে কখনই অন্য কাউকে ভালবাসা যায় না। বিশেষজ্ঞদের কথায় নিজেকে ভালবাসার একমাত্র উপায় কখনই নিজেকে উপহার দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া নয়।
নিজেকে ভালবাসা আর স্বার্থপরতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। অনেকেই ভাবেন নিজেকে ভালবাসা মানেই স্বার্থপরতা। কিন্তু মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, নিজেকে ভাল না বাসলে কখনই অন্য কাউকে ভালবাসা যায় না। বিশেষজ্ঞদের কথায় নিজেকে ভালবাসার একমাত্র উপায় কখনই নিজেকে উপহার দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া নয়। নিজের ইচ্ছেমত কাজ করাও এর মধ্যে পড়ে। তবে স্বার্থপরতা অনেক সময় অন্যের ক্ষতি করে। এটি মানুষকে অন্যের কাছে অপ্রয়োজনীয় করে তোলে। তবে আত্মপ্রেম কখনই তা করে না।
নিজেকে কীভাবে ভালবাসবেন- তাই উপায় রইলঃ
১. নিজের প্রতি সচেতন হতে হবে। নিজের করা ভুল আর ত্রুটি থেকেই নিজে নিজে শিখতে হবে। তাহলে আপনি নিজে যখন আর ভুল করবেন না তখনই দেখবেন নিজের প্রতি সম্মান আর আস্থা বেড়ে যাবে।
২. নিজের শরীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অপর নামও কিন্তু আত্মপ্রেম। তাই দিনের একটা সময় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখুন। নিজেকে নিয়ে কিছু সময় চিন্তা করুন।
৩. নিজের সীমা নির্ধারণ করুন। কতটা পর্যন্ত আপনি যেতে পারবেন তা আগে ঠিক করে নিন। কিন্তু তার বেশি যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাতে অন্যকেউ অনস্তুষ্ট হলেও আপনার কিছু করার নেই।
৪। সমালোচনার থেকে সমবেদনাকে বেশি মূল্য দিন। তাতে নিজের কষ্ট অনেকটাই কমবে। সমালোচনাকে কখনই গুরুত্ব দেবেন না। তাতে নিজেরই বেশি ক্ষতি হবে।
৫। মানসিক শান্তিকে বেশি গুরুত্ব দিন। নিজে যে কাজটা করে শান্তি পান সেটাই করুন। তাতে নিজেও শান্তি পাবেন। পাশের মানুষও শান্তি পাবেন। যে কাজ নিজের করতে ইচ্ছে করছে না, সেটা না করার চেষ্টা করুন।
৬. তুলনা ছাড়ুন
কখনই কারও সঙ্গে কারও তুলনা করবেন না। তুলনা করলে মানসিক শান্তি পাবেন না। প্রথম নির্ণয় করুন আপনি কি । কতটা করতে পারেন। কী করতে পারেন। তারপরই নিজের সীমারেখা নির্ধারণ করুন। দেখবেন তাতে নিজের প্রতি আস্থা বেড়ে যাবে।
৭. আত্ম প্রতিফলন
ব্যক্তিগত বৃদ্ধির জন্য একটি হাতিয়ার হিসাবে আত্ম-প্রতিফলনকে আলিঙ্গন করুন। নিজের মনকে সবার আগে বুঝতে হবে। নিজের চাহিদা আকাঙ্খাগুলিকে গুরুত্ব দিন। সেই মত কাজ করুন। তাহলেই নিজের প্রতি সম্মান দেখাতে পারবেন।