বিয়ে, সম্পর্ক, প্রেম বা সহবাসের মত বিষয়গুলি নিয়ে সম্প্রতি একটি সার্ভে করেছেন জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ।
একটা সময় বিয়ে ছিল যৈনতার ছাড়পত্র। কিন্তু বর্তমানে সময় অনেকটাই বদলে গেছে । এখন যৌনতা অনেকটাই অবাধ। সর্বদা যে বিয়ের প্রয়োজন হয় এমনটাও নয়।তবে এই বিষয়ে নতুন একটি গবেষণা রিপোর্ট সামনে এসেছে, যেখানে গবেষকদের দাবি বিয়ের থেকে যৌন মিলনেই বেশি আগ্রহী প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষ।
বিয়ে, সম্পর্ক, প্রেম বা সহবাসের মত বিষয়গুলি নিয়ে সম্প্রতি একটি সার্ভে করেছেন জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়েছে, বিয়ে নয়, নতুন প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি আগ্রহী সহবাস। লিভ ইন সম্পর্ক জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। অনলাইন ডেটিং অ্যাপের সমীক্ষার ফল অনুযায়ী ৩০ বছরের কম বয়সী নারী-পুরুষের মধ্য়ে প্রায় ৬৩ শতাংশই নিজের সঙ্গীকে বিয়ে করতে আগ্রহী নয়। তারা সহবাসেই বেশী আগ্রহী। নতুন প্রজন্মের দাবি বিয়ে যদি করতেই হয় তাহলে সঙ্গীকে আরও ভাল করে বোঝার জন্য সহবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে একে অপরকে খুব ভাল করে চেনা যায়। তবে তিশিরের ওপরের প্রায় ৫৫ শতাংশ অবার বিয়েই আস্থা রাখছে। বিয়েতেই তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে তিরিশ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে কেবল ২৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিয়ে সহবাসের তুলনায় অনেক ভাল।
নতুন সমীক্ষা একটি চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে আধুনিক প্রজন্মের প্রায় ৭৪.৬ শতাংশ মনে করে সহবাস নিজেদের পেশার জীবনকে কম প্রভাবিত করতে পারে।
নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৬৯ জন জানিয়েছেন, কোনও সম্পর্ক ভেঙে গেলে মানুষকে বিপর্যস্ত করে তোলে। তাদের কথায় সম্পর্কের ভাঙান মানুষকের কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি পারিবারিক জীবনকেই বিপর্যস্ত করে। বিবাহ বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে সহবাসের সম্পর্কে ভাঙন সবকিছুই মানুষকে বিভ্রান্ত করে। প্রেমের সম্পর্কের ভাঙন মনের পাশাপাশি শরীরের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে। সহবাস নিয়ে এখনও একটি প্রচলিত একটি ধরনা রয়েছে। তা হল এই সম্পর্ক নিছকই যৌন উদযাপনের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়। তবে অনেকেই এই মতের বিরোধী মত তৈরি করেছে। বলা হয়েছে ৭০ শতাংশ মানুষই মনে করে সহবাসের সম্পর্ক তৈরি হয় ভালবাসা থেকে। দুজনের চাহিদাকে দুজনের প্রাধান্য দেওয়া থেকেই তৈরি হয় সহবাসের সম্পর্ক।