পুরুষ ও নারী লিঙ্গভেদে এই অর্গ্যাজম-এর পার্থক্য থাকে। তবে যৌন উত্তেজনা বা যৌনমিলন সময় অর্গ্যাজম নিয়ে অনেকের মনেই নানা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে সেগুলি সবার আগে দূরে রাখুন।
যৌন উত্তেজনার চরম পর্যায় হল অর্গ্যাজম। পুরুষ ও নারী লিঙ্গভেদে এই অর্গ্যাজম-এর পার্থক্য থাকে। তবে যৌন উত্তেজনা বা যৌনমিলন সময় অর্গ্যাজম নিয়ে অনেকের মনেই নানা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে সেগুলি সবার আগে দূরে রাখুন। অর্গ্যাজম না পাওয়া নিয়ে অনেক কাপলসদের মধ্যে নিয়ে বিবাদ লেগেই থাকে। কেন তারা শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে পৌঁছতে পারেন না, এই বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তায় পড়ে যায়। তবে এটি নিয়ে বেশি চিন্তার বেশি প্রয়োজন নেই। তবে সমীক্ষা বলছে, সঙ্গমের সময় মহিলারা একাধিকবার অর্গ্যাজম অনুভব করেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশন না হলে অন্তত ৭৫ শতাংশ মেয়েদের যৌন মিলনে অর্গ্যাজম হয় না। তার মানে এই নয়, তারা সঙ্গম উপভোগ করছেন না। মেয়েদর জন্য অর্গ্যাজম মানেই শুধু যৌনসুখ নয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অর্গ্যাজম নিয়ে একদমই হীনমন্যতায় ভুগবেন না। অনেকেই মনে করেন, ভাইব্রেটর ব্যবহারের কারণেই অর্গ্যাজম হচ্ছে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এই চিন্তা-ভাবনা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কারণ মেয়েদের জন্য অর্গ্যাজম যেমন শেষ নয়,তেমনই সঙ্গমের সময় দুজনেরই অর্গ্যাজম হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। মেয়েরা যদি ভাইব্রেটর ব্যবহার করে থাকেন, সেক্ষেত্রে অর্গ্যাজম না হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
সম্পর্ককে মজবুত করতে মানসিক ভাবে সংযুক্তির বিশেষ প্রয়োজন। যৌনমিলন শুধু শারীরিকই নয়, মানসিক দিক থেকেও রিলেশনশিপকে আরও মজবুত করে তোলে। তবে সঙ্গমের সময়টুকু শুধু নিজেদের এবং পরমুহূর্তে বিষয়টা থেকে বেরিয়ে যাওয়া, এটাই কিন্তু ঠিক নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শারীরিক মিলনের পরেও এমন কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা উচিত, যাতে সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও ভালবাসার হয়। তবে অনেকেরই সময় পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে। তবে এ নিয়ে চিন্তা করার কোনও দরকার নেই। ফোরপ্লে করে নিজেদের পুরোনো সম্পর্ক ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যৌন সম্পর্ক নিয়ে অনেকেরই অনেকরকমের ফ্যান্টাসি রয়েছে। সঙ্গমের সময়টাতে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে দুজনেই পুরো সময়টাতে একান্তভাবে কাটাতে চান। অনেকেই উদ্দাম যৌন মিলন পছন্দ করেন। কিন্তু অনেক সময়েই মিলনের সময় একাধিক সমস্যায় পড়েন দম্পত্তিরা। বিভিন্ন যৌনতা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে পুরুষাঙ্গের আকার নিয়ে বিভিন্ন জিনিস দেখানো হয়। যা দেখার পর দেখেই পুরুষরা বিভ্রান্ত হয়ে নানারকম ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। এটি সম্পূর্ণ ভুল। পুরুষাঙ্গের আকার ছোট হলেও, তারা তাদের সঙ্গীকে অর্গ্যাজমের অনুভূতি দিতে সক্ষম হয়।