স্যামসাঙ গ্যালাক্সি এস১০ লাইট-এর পারফরম্যান্স কেমন জেনে নিন

  • স্যামসাঙ গ্যালাক্সি এস১০ লাইট-এর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো
  • ব্যাটারি লাইফ, ক্যামেরা, প্রসেসর সমস্ত উন্নতমানের
  • ওয়ানপ্লাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মূল বিষয় হবে দাম

সামস্যাঙ গ্যালাক্সি এস১০ লাইট ফোনটি স্যামসাঙ-এর অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জগতে নতুন সংযোজন। ফোনটি ওজনে হালকা আর আকর্ষণীয় ডিজাইনের। এখন দেখা দরকার  এই ফোনের পারফরম্যান্স কেমন?

এই ফোনে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ এসওসি যার ক্ষমতা বা কার্যক্রম নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতেই পারে না। দৈনন্দিনের যে পারফরম্যান্স করে থাকে স্মার্টফোন সেইসব ক্ষেত্রে গ্যালাক্সিএস১০ লাইট -এর পারফরম্যান্স যথেষ্ট সন্তোষজনক।  অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করার ক্ষেত্রেও তেমন সমস্যা চোখে পড়েনি। যেহেতু ইউএফএস ৩.০ ভ্যারাইটি ফ্ল্যাশ স্টোরেজ নেই তাই থেমে যাওয়া বা গতি কমে যাওয়ার লক্ষণ চোখে পড়েনি। ভারি অ্যাপস বা গেম খেলার সময়ও সাবলীলতা বজায় ছিল।

Latest Videos

 যদিও পিইউবিজি খেলার সময় হালকা গরম হয়ে যেতে পারে, তবে তা কখনওই খুব গরম নয়। এইফোনের আয়তন বড়ো বলে হাতে বা পকেটে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধেজনক। ফোনের ডিসপ্লে বড়ো চায় অনেকেই তাই দৈর্ঘ্য বাড়লে আয়তন বাড়বে, সেক্ষেত্রে এই অসুবিধে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

ইন-ডিস্প্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর শীঘ্রই ফোন আনলক করে দিতে সক্ষম। যে একক ক্যামেরাটি আছে তার মধ্যে ফেস রেকগনিশন আছে আর এই পদ্ধতি সঠিকভাবেই কাজ করে এই ফোনে , কম আলোয় ভালোই পারফরম্যান্স প্রদান করে। তবে সচল হতে একটু সময় লাগে।

নীচের ফায়ারিং স্পিকার থেকে যে শব্দ নিক্ষেপিত হয় তার ভল্যুম খুম বেশি নয়। তবে ডলবি অ্যাাট্মস এনহ্যান্সমেন্ট পাওয়া যাবে যদি ব্যবহারকারী হেডফোন ব্যবহার করে। হেডসেটের সাউন্ড সুন্দর এবং বাইরের শব্দ প্রবেশ করে না।  এই ফোনের ভিডিও কোয়ালিটি খুব ভালো। 'ন্যাচারাল' কালার প্রোফাইল কিছুটা মৃদু আর 'ভিভিড' প্রোফাইল যোগ করে গাঢ় রঙ। এইচডিআর ভিডিও কোয়ালিটি যা নেটফ্লিক্স আর ইউটিউব থেকে আমরা দেখি তা এই ফোনে দেখে সুখকর অনুভূতি পাবেন ব্যবহারকারীরা।

ব্যাটারি লাইফ এই ফোনের জবরদস্ত। যদি ফোন খুব বেশিও ব্যবহৃত হয় তাহলেও দেড় দিন অনায়াসে চলে। আর যদি তার থেকে কম ব্যবহৃত হয় তাহলে অবশ্যই দু দিন চলবে বিনা চার্জে। এইচডি ভিডিও ব্যাটারি লুপ টেস্টে গ্যালাক্সি এস১০ লাইট ১৮ ঘন্টা ৫৫ মিনিট চলেছে , যা অসম্ভব ভালো পারফরম্যান্স। 

ক্যামেরার ক্ষেত্রে এই ফোনের অনেক রকমের শুটিং মোড পাবেন ব্যবহারকারীরা, যেমন- ফোকাস ভিডিও, সুপার স্লো মো এবং প্রো। সিন অপটিমাইসার নিজে নিজেই প্যারামিটার ঠিক করে নিতে পারে, যার ফলে কতটা আলোয় কি ধরণের বস্তু শুট করা যাবে তা বোঝা সম্ভব হয়। ভিডিও ৪কে ৩০এফপিএস-এ  শ্যুট করা যাবে। কিন্তু যেটা অদ্ভুত লাগল তা হল, এই ফোনে ৬০এফপিএস অপশন নেই, অথচ এই ফোনের প্রসেসর এই ফিচার সাপোর্ট করতে সক্ষম। এই ফোনে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। ডিটেলস, রঙ-এর স্যাচুরেশন সব সন্তোষজনক। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াইড অ্যাঙ্গল ক্যামেরায় ডিটেলস প্রাইমারি ক্যামেরার মতো ভালো নয়। ম্যাক্রো ক্যামেরার ডিটেলসও যথেষ্ট ভালো। কম আলোয় গ্যালাক্সিএস১০ লাইট -এর পারফরম্যান্স বেশ ভালো। নাইট মোডে ওয়াইড অ্যাঙ্গল ক্যামেরা ভালো পারফরম করেছে। এই ফোনের ৩২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরায় তোলা ছবিতে ডিটেল, রঙ সব সুন্দর থাকে। কৃত্রিম আলোয় ফ্রন্ট ক্যামেরায় বেশি ভালো ছবি উঠেছে। কম আলোয় ছবি তোলার জন্য এই ফোনে ফ্ল্যাশ আছে। দিনের আলোয় ভিডিও তোলার ক্ষেত্রে ৪কে রেজোলিউশন বেশ ভালো। কম আলোয় কিছু গ্রেন এসেছে তবে ক্রোমা নয়েজ কিন্তু তেমন থাকেনা ভিডিওয়। 

সবশেষে এটাই বলার যে এই ফোনের দাম একটু বেশি। ৩৯,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু।  তাই ওয়ান প্লাসের বাজার ধরতে হলে দামটা একটু কম থাকলে কাজটা সহজ হত। কিন্তু এই রেঞ্জের ফোনের ক্ষেত্রে স্যামসাং-এর এই সংযোজন নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।

Share this article
click me!

Latest Videos

এটিএম থেকে ফিরতেই চক্ষু চড়কগাছ! লক্ষাধিক টাকা নিমিষের মধ্যে হাওয়া, তোলপাড় শান্তিপুর | Nadia News
ভাটপাড়ায় প্রোমোটারের 'দাদাগিরি', আতঙ্কে জমির মালিক, কি বলছে পুরসভা! দেখুন | Bhatpara News
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
বাগদায় ফের চলল বুলডোজার! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি দোকান | Bagdah News
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today