ঘুম পেলেই হাই ওঠে। তাই কাজের জায়গায় বা ক্লাস চলাকালীন হাই তুললেই বসের বা শিক্ষকের বকুনি খেতে হয়। বিশেষ করে দুপুরে পেট ভরে খাওয়ার পরে যেন হাই তোলার জোয়ার আসে। একের পরে এক হাই উঠতে থাকে। হাই তোলার সময়ে অস্বস্তি হলেও হাই তোলারও বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে।
জেনে নেওয়া যাক হাই তোলার বিশেষ কিছু গুণাগুণ-
১) হাই এক ধরনের মুখে ব্যায়াম। হাই তোলার সময়ে হা মুখ অনেকটা প্রসারিত হয়। তাই মুখের মাংস পেশীরও ব্যায়াম হয়ে যায়। ফলে ক্ষণিকে শারীরিক জড়তা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
২) হাই তুললে চোখও ভালো থাকে। এক হেলথ ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে হাই তুললে চোখের অশ্রুগন্থির উপরে চাপ পড়ে। ফলে সেখান থেকে জল বেরোলে আমাদের চোখের ভিতরটা পরিষ্কার হয়ে যায় ও দৃষ্টিশক্তি স্বচ্ছ হয়।
৩) উঁচু কোনও জায়গায় গেলে কান বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ে হাই তুললে কানে বায়ু চাপের ভারসাম্য রাখতে সুবিধে হয়। হাই তুললে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়।
৪) হাই শরীর আর মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলেও জানা গিয়েছে এক হেলথ ওয়েবসাইট থেকে। গ্রীষ্মে যেহেতু শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে তাই এই সময়েই হাই বেশি ওঠে।
৫) আমরা প্রায়ই উদ্বেগে ভুগি। তখন মস্তিষ্ক উত্তেজিত হয়ে থাকে। হাই তোলার ফলে সহজেই মস্তিষ্ক শিথিল হয়ে যায় এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। হাই তোলা স্নায়ু তন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।