শারীরিক গঠন এবং খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস এর ওপর মানুষের শরীরে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা নির্ভর করে। তাই আমাদের সকলকেই একটা নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা উচিত। পাশাপাশি প্রয়োজন একটি সঠিক জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে চলা। মেদহীন তন্বী চেহারা আমাদের সকলেরই স্বপ্ন থাকে। তবে যখন তখন বা অসময়ের খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলেই ঘটে বিপত্তি। আর এই স্বাভাবের ফলেই শরীরের বাড়তে থাকে মেদ। তাই অসময়ের খিদেকে এড়িয়ে চলুন। আর নিজেকে রাখুন সংযত। তাতে শরীরের বাড়তি মেদ জমার হাত থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই।
আরও পড়ুন- হাঁচি পেলে আপনিও এমন করেন, এর ফলে হতে পারে মৃত্যুও
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। কোথাও যাওয়ার আগে আপনার পছন্দের পোশাকটা পড়তে গিয়ে দেখলেন কিছুতেই পড়া যাচ্ছে না। ওজন মাপার যন্ত্রে নিজের ওজনটা একবার দেখেই চক্ষু চড়কগাছ? যতই ভাবছেন ওজন সঠিক রাখবেন, ততই যেন দিনে দিনে ওজন বেড়ে চলে। এমন সমস্যা আপনার হয়ে থাকে তবে বেশি কষ্ট নয়, শুধুমাত্র বোঝান নিজেকে। আর মনে রাখুন সহজ এই বিষয়গুলি। তবে হ্যাঁ যেমন ঘন ঘন পেট ভরে খাওয়াও বিপদ আবার খালি পেট রাখলেও চলবে না। কিছু না খেয়ে থাকলেও ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে আরও বেশি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি।
আরও পড়ুন- করোনা ভাইরাসের বাহক মানবদেহ, নিশ্চিত করল চিন
ওজন কমানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অতিরিক্ত পরিমানে জল পান। শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখতে বেশি করে জল পান করুন। জলের মাত্রা যদি শরীরে সঠিক থাকে, তবে শরীরের অনেক সমস্যায়ই কমে যায় এক ধাক্কায়। তাই জল বেশি করে খেলে খিদে কম পায়, খাবারও ভালো মতন হজম হয়। মিন্টের গন্ধ বা মিন্ট জাতীয় কোনও লজেন্স খিদের পাওয়ার মাত্রা অনেক কমিয়ে দেয়। তখন আর খাবারের দিকে ঝুঁকতে হয় না। এই জাতীয় সুগন্ধি ঘরে রাখলে তাতেও সুফল মিলতে পারে। অসময়ে খিদে পেলেই ফল খান। আপেল, শশা, শাকআলু, পাঁকা পেপে জাতীয় ফল খেতে পারেন। বেশি রসালো ফল অতিরিক্ত না খাওয়াই ভাল। এতে অতিরিক্ত মেদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তো থাকবেই না উল্টে শরীরের পক্ষে উপকারী।
আরও পড়ুন- বয়স বাড়লেও ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, জানুন কীভাবে
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চা বা কফি পান করলে খিদে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসে। তাই অসময়ে খিদে পেলেই চিনি ছাড়া চা বা কফি পান করতে পারেন, এর ফলে মেদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও থাকে না। এর সঙ্গে প্রয়োজন প্রতিদিন সকালে বা নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে শরীরচর্চা। তাতে অসময় খিদের মাত্রা কমে যায়। দিনের শুরুতেই ব্যায়ম শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। এতে শরীরের বহু সমস্যার হাত থেকে মুক্তি মেলে।