ভারতেই নরওয়ের মত জায়গার উপভোগ করুন আর শীতের ছুটি কাটিয়ে আসুন

Published : Dec 04, 2025, 12:57 PM IST
Himachal

সংক্ষিপ্ত

শীতকাল মানেই পিঠে ব্যাগ নিয়ে, নরম রোদ্দুর গায়ে মেখে পাড়ি দেওয়া দূর থেকে সুদূরে। ঘর থেকে দু’পা দূরত্বের কোনও পর্যটনকেন্দ্র হোক কিংবা দূরবর্তী কোনও অজানা জায়গা, শীতকাল তো ঘুরে বেড়ানোর আদর্শ সময়।

নরওয়ে হলো বিশাল ফিয়র্ড, বিস্তৃত উপত্যকা, প্রশস্ত বন এবং সুন্দর হ্রদের দেশ। এটি ওসলো এবং বার্গেনের মতো প্রাণবন্ত শহরের আবাসস্থল। নরওয়ে হলো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে পশ্চিমে, সবচেয়ে উত্তরে এবং সবচেয়ে পূর্বে অবস্থিত একটি দেশ। মধ্যরাতের সূর্য দেখুন, উত্তর আলো দেখুন, এর সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করুন এবং এর অনন্য স্থাপত্য দেখুন, সবকিছুই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ অবস্থায়।

আপনি এই দেশে মধ্যরাতের সূর্য, উত্তরের আলো, এর সমৃদ্ধশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, অনন্য স্থাপনা ইত্যাদির সাথে পৃথিবীর কিছু সুন্দরতম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। তাহলে এই নরওয়ে যদি উপভোগ করতে চান কিন্তু বিদেশে পাড়ি দেওয়ার মতো সাধ্য নেই তাহলে চিন্তা করতে হবে না। আসলে ভারত এমন এক দেশ, যার প্রতি প্রান্তই অন্য রূপ নিয়ে হাজির হয় আপনার সামনে। ভারতের ‘সুইজারল্যান্ড’ কাশ্মীরের কথা তো আপনারা জানেন। কিন্তু জানেন কি ভারতেই রয়েছে নরওয়ে? চমকে উঠছেন কিংবা সন্দেহ প্রকাশ করছেন?না না একদম চিন্তা করার কিছু নেই ,জানুন বিস্তারিত।

প্রথম জায়গা হল হিমাচল প্রদেশের নারকান্ডা। বরফঢাকা তুষারশুভ্র পাহাড়ি ঢাল স্কি করার পক্ষে একেবারে আদর্শ। তাই শুধু পর্যটক নয়, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস প্রেমীদেরও অন্যতম পছন্দের জায়গা এই নারকান্ডা। আর শীতে এখানকার উপত্যকাগুলোয় স্কিয়ারদের ভিড় চোখে পড়ে। তার রোমাঞ্চ এতটাই যে সাধারণ মানুষজনও পায়ে চাকা লাগিয়ে বরফের মধ্যে একটু ঘুরে নেন।

সৌন্দর্যের কথা তো জানলেন। এবার ঠিকানাটা ভালো করে জেনে নিন। হিমাচলের বহুল পরিচিত পর্যটনস্থান শিমলা। সেখানেই রয়েছে এদেশের ‘নরওয়ে’ নারকান্ডা। হিন্দুস্তান-টিবেট রোড বরাবর ২৭০৮ মিটার উপরে অবস্থিত এই উপত্যকা। শিমলা ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই একটা দিন রাখুন নারকান্ডা ঘোরার জন্য।

নরওয়ের সৌন্দর্যের সঙ্গে তুলনীয় আরেক জায়গায় রয়েছে উত্তরপূর্বের অরুণাচল প্রদেশের দিবাং ভ্যালি। এমনিতেই উত্তরপূর্ব ছবির মতো সুন্দর। যাকে বলে – পিকচার পারফেক্ট। সেই অরুণাচলেই দিবাং ভ্যালি। সবুজে ভরা মিশমি উপত্যকার বিশেষত্ব প্রাচীনত্বের ছোঁয়া আর মিশমি টাকিন প্রজাতির বাইসন। এখানে নরওয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগ অবশ্য নেই। কিন্তু একটুকরো খাঁটি প্রকৃতি আছে। পাবেন প্রচুর ওষধি গাছ। এছাড়া জীববৈচিত্র্যের কারণে বিখ্যাত এই উপত্যকা। সব জেনেই তো নিলেন। আর কী? এবার ব্যাগ গুছিয়ে টিকিট কেটে ফেলুন।আর বেরিয়ে বেরিয়ে পড়ুন নতুন দিশার খোঁজে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ডিসেম্বর শেষের আগেই চলুন ঘুরে আসা যাক কমলালেবুর গ্রামে, কীভাবে যাবেন? রইল টিপস
বর্ষবরণের রাতে দিঘায় ঘুরে বেড়াবে প্রমোদ তরী, বিচ উৎসবে ঘিরে উন্মাদনা বাড়বে পর্যটকদের