
ছত্তিশগড়ের রহস্যময় গুহা: ভারতে হাজার হাজার এমন রহস্যময় জায়গা আছে, যার ধাঁধা আজও সমাধান করা যায়নি। বিজ্ঞানীদের জন্যও এই জায়গাগুলোর রহস্য উন্মোচন করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ছত্তিশগড়ের বিজাপুরেও এমনই এক জাদুকরী গুহা রয়েছে, যেখানে ঢোকা বা বেরোনোর কোনো রাস্তা নেই। এমনকি সূর্যের আলোও সেখানে পৌঁছাতে পারে না, কিন্তু তবুও এই গুহার দেয়াল থেকে সোনার মতো আভা বেরিয়ে আসে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই গুহার সম্পর্ক মহাভারতের যোদ্ধা কর্ণের সঙ্গে জড়িত। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এই রহস্যময় গুহার পুরো গল্প, যা জানার পর আপনারও সেখানে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে হবে।
লেখক অক্ষত গুপ্ত একটি পডকাস্টে এই জায়গার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় একটি গ্রাম আছে, যেখানে একটি গুহা রয়েছে। বলা হয়, এই গুহার ভেতরে ঢোকা বা বেরোনোর কোনো রাস্তা নেই, কিন্তু এই গুহাটি নিজেই এক রহস্য। এর ভেতর থেকে সবসময় এক অদ্ভুত আলো বেরোতে থাকে, অথচ সেখানে সূর্যের আলো একেবারেই পৌঁছাতে পারে না।
বলা হয়, এই গুহাতেই কর্ণের কবচ ও কুণ্ডল লুকানো আছে। মহাভারতের সময় যখন ইন্দ্র ছলনা করে কর্ণের কাছ থেকে তাঁর কবচ ও কুণ্ডল চেয়ে নিয়েছিলেন, তখন ফেরার পথে অভিশাপের কারণে তাঁর রথের চাকা এখানেই আটকে গিয়েছিল। তখন ইন্দ্র এখানে একটি গুহা তৈরি করে সেই কবচ ও কুণ্ডল লুকিয়ে রেখেছিলেন। মনে করা হয়, সেই কবচ ও কুণ্ডল এতটাই শক্তিশালী এবং ভারী ছিল যে ইন্দ্রও সেগুলোকে সঙ্গে করে উপরে নিয়ে যেতে পারেননি। তাই আজও সেই কবচ ও কুণ্ডল এই গুহায় রাখা আছে এবং সেগুলোর শক্তির কারণেই গুহা থেকে সোনার মতো রহস্যময় আলো বের হয়।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এই আলো কোথা থেকে আসে, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু আপনি যদি বিশ্বাসে আস্থা রাখেন, তাহলে এই গুহাটি দেখার জন্য ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে আসার পরিকল্পনা করতে পারেন।