মাত্র দু’দিনের ছুটি পেলেই মনটা ছুটে যেতে চায় প্রকৃতির কোলে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে একটুখানি নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো জায়গা চায় সবাই। ঠিক এমনই একটি নিঃশব্দ, সবুজ ও শান্ত জায়গা হল বেলপাহাড়ি। বর্ষায় ঝাড়গ্রামের এই জায়গার সৌন্দর্য যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পাহাড়, ঝরনা আর ঘন জঙ্গল—সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এই উইকেন্ডে যদি প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চান, তাহলে বেলপাহাড়ি হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।
25
ঘাঘরা জলপ্রপাত
বেলপাহাড়ি থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘাগড়া জলপ্রপাত। এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য বর্ষাকালে আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। এখানে আসলে পরে আপনি একটি গিরিখাত দেখতে পাবেন। ঘাগড়া জলপ্রপাতে জলের তোড়ে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে গর্ত। টানা বৃষ্টি হলে এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য আরও বেড়ে ওঠে।
35
চাতন পাহাড়
ঘুরে দেখতে পারেন চাতন পাহাড়, বেলপাহাড়ির ছোট্ট গ্রাম। এখানে আসলে আপনাকে একটু পরিশ্রম করে পাহাড় চড়তে হবে, তবে এখানকার সৌন্দর্য আপনার মন কাড়তে বাধ্য। এছাড়াও বেলপাহাড়ি থেকে কাঁকড়াঝড়া যাওয়ার পথে শালবনের পাহাড় পথে ২০০ মিটার উঠলে দেখতে পাবেন পাহাড়ি গুহা।
জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎই সামনে দেখা মেলে গাড়রাসিনী পাহাড়ের। পাহাড়টির চারপাশে ঘন জঙ্গল ও ছায়াঘেরা পথ। পথে পড়ে বাসুদেব মন্দির, যা স্থানীয়দের কাছে এক পবিত্র স্থান।
55
কীভাবে যাবেন?
ট্রেনে যেতে হলে শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত ট্রেন ধরুন। ঝাড়গ্রাম থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যান বেলপাহাড়ি, দূরত্ব প্রায় ৫০ কিমি। আর গাড়িতে গেলে কলকাতা থেকে সড়ক পথে ঝাড়গ্রাম হয়ে বেলপাহাড়ি পৌঁছন, সময় লাগতে পারে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা। বহু পর্যটকের চোখ এড়িয়ে এখনও ঝাড়গ্রামের স্বর্গ বেলপাহাড়ি। সপ্তাহের শেষে দুটো দিন ছুটি থাকলেই একটা ছোট্ট ভ্রমণ সেরে আসা যায়, মন জুড়োতে বাধ্য।