মুখে মুখে বেঁচে সংস্কৃত, ভারতের ৫টি গ্রাম যেখানে আজও প্রাণবন্ত সংস্কৃত ভাষা

Published : Aug 19, 2025, 06:44 PM IST

ভারত ভাষা ও উপভাষার দিক দিয়ে সমৃদ্ধ একটি দেশ, যেখানে প্রতিটি অঞ্চল, রাজ্য, শহর এবং স্থানের নিজস্ব ভাষা ও উপভাষা রয়েছে। ভারতীয় ভাষার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা হল সংস্কৃত। 

PREV
16
ভারতের এই ৫ টি গ্রামে আজও বলা হয় সংস্কৃত, দুটি একই রাজ্যে

ভারতের প্রাচীন ভাষা সংস্কৃতকে "দেবভাষা" বলা হয়। এটি কেবল বেদ, উপনিষদ এবং গ্রন্থের ভাষা নয়, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মূলও। আধুনিক যুগে যেখানে কথোপকথন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে সংস্কৃতের প্রচলন কমে গেছে, সেখানে দেশের কিছু গ্রাম এমনও আছে যেখানে আজও মানুষ দৈনন্দিন কথোপকথনে সংস্কৃত ব্যবহার করে। এই গ্রামগুলি আমাদের ঐতিহ্য এবং পরিচয়কে জীবিত রাখার কাজ করছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের সেই ৫ টি বিশেষ গ্রাম সম্পর্কে, যেখানে আজও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলা হয়-

26
ভারতের এই ৫ গ্রামে বলা হয় সংস্কৃত (Sanskrit Speaking Villages) মট্টুর (কর্ণাটক)

কর্ণাটকের শিমোগা জেলার মট্টুর গ্রাম সংস্কৃত ভাষায় কথা বলার জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। এখানকার মানুষ ঘরে, মন্দিরে এবং বাজারেও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে। এই গ্রামের বিশেষত্ব হল এখানে প্রতিটি ব্যক্তি, শিশু হোক বা বৃদ্ধ, সহজেই সংস্কৃতে কথোপকথন করে। এই কারণেই মট্টুরকে “সংস্কৃত গ্রাম”ও বলা হয়।

36
হোসাহাল্লি (কর্ণাটক)

মট্টুরের কাছেই অবস্থিত হোসাহাল্লি গ্রামও সংস্কৃত ভাষাকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে গ্রহণ করেছে। এখানেও মানুষ একে অপরের সাথে সংস্কৃতে কথা বলে এবং শিক্ষা থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পর্যন্ত, সংস্কৃতই এখানকার প্রধান ভাষা। এইভাবে কর্ণাটকের দুটি গ্রাম মিলে পুরো বিশ্বের সামনে সংস্কৃতকে জীবিত রাখার একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে।

46
ঝিরি (মধ্যপ্রদেশ)

মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার ঝিরি গ্রামেও মানুষ আজও সংস্কৃত ভাষায় কথোপকথনের জন্য বিখ্যাত। এখানে গ্রামবাসীরা সংস্কৃতকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে। মজার ব্যাপার হল, এখানে কেবল বয়স্করাই নয়, নতুন প্রজন্মও সংস্কৃত ভাষাকে তাদের পরিচয় বানাচ্ছে। এইভাবে মধ্য ভারতের এই গ্রামটিও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে তার পরিচয় স্থাপন করছে।

56
সাসনা (ওড়িশা)

ওড়িশার সাসনা গ্রামও সংস্কৃত ভাষাকে জীবিত রাখার জন্য পরিচিত। এখানে অনেক সংস্কৃত বিদ্যালয় রয়েছে এবং স্থানীয়রা দৈনন্দিন কথোপকথনে সংস্কৃত ভাষা ব্যবহার করে। এই গ্রামের বিশেষত্ব হল এখানে সংস্কৃতের প্রচার শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে করা হয়।

66
গানোড়া (রাজস্থান)

রাজস্থানের বান্সওয়ারা জেলার গানোড়া গ্রামও সংস্কৃতকে তাদের মাতৃভাষার মতো গ্রহণ করেছে। এখানকার গ্রামবাসীরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে স্থানীয় ভাষার পরিবর্তে সংস্কৃত ব্যবহার করে এবং শিশুদেরও এই ভাষা শেখানো হয়।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories