পর্যটকদের আকর্ষণে পসরা সাজিয়ে বিশ্বাস স্বরূপম, বিশ্বের সবথেকে উঁচু শিব মূর্তি দেখতে গিয়ে এগুলি যেন ভুলবেন না

শ্রীনাথজির শহর নাথদ্বারার তাত পদম সংস্থা রাজস্থানের রাজমমন্দ জেলার বিশ্বের সবথেকে উঁচু শিবের মূর্ত  তৈরি করেছে। এটির দৈর্ঘ্য ৩৬৯ ফুট। ইতিমধ্যেই এই এলাকায় বাড়ছে পর্যটকদের সংস্থা। যারমধ্যে রয়েছে শিবের ভক্তবৃন্দ ও সাধারণ দর্শনার্থীরাও। মূর্তি এলাকায় প্রতিটি পরতেও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। 
 

পার্কিং লট থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে রয়েছে মূল প্রবেশ পথ। সেটিও অত্যান্ত আকর্ষণীয়। মূল ফটকে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে আপনার মনে হবে আপনি একটি বিশেষ জায়গায় এসেথেন। প্রধান গেটটা দেখতে অনেকটা অর্ধ চন্দ্রাকার। প্রবেশ দ্বারের দুই পাশে ভগবানের মূর্তি ও মাঝখালে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। 

নাথদ্রার শ্রীজি শহরটি একটি ধর্মীয় পর্যটন শহর হিসাবে পরিচিত ছিল, কিন্তু এখন "বিশ্ব স্বরূপম" আকারে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। জিপ লাইন পর্যটকদের রোমাঞ্চিত করবে এবং পর্যটকরা বিশ্বমানের অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রমের সুবিধা নিতে পারবে। জিপ লাইনগুলি সাধারণত স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং ঢালে ইনস্টল করা হয়।
 

এই এলাকায় একটি জঙ্গল কাফেও তারি করা হয়েছে। সেখানে জঙ্গল সাফারির আনন্দ পাবেন পর্যটকরা। 

গোটা কমপ্লেক্সে একটি সঙ্গম স্থান রয়েছে। পর্যটকরা সেখানে নন্দী আর শিবের মূর্তির সঙ্গে সেলফি তুলতে পারবে। সেখানেই পাঁচটি প্রবেশ পথ একত্রিত হয়েছে। 
 

একটি ওপেন থিয়েটার রয়েছে। শতাধিক দর্শক একসঙ্গে বসতে পারবে। রাতও এই ওপেন থিয়েটার ব্যবহার করা যাবে। রয়েছে উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা। 
 

বিশ্ব স্বরূপমে ভগবান শিবের দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি রয়েছেষ পাশে রয়েছে ২১ ফুলের একটি নন্দী মূর্তি। সেখানে নন্দীর তিনটি পা মাটিতে আর একটি পা হাওয়ায় ভাসমান। নন্দীর এই ধরনের ছবি খুব কম দেখা যায়। নন্দী শিবের বাহন। কিন্তু মন্দিরে নন্দী দারওয়ানের কাজ করেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস। 
 

শিব মূর্তির সামনে একটি কৃত্রিম পুকুর তৈরি করা হয়েছে। তারই ওপর নির্মাণ করা হয়েছে হরিহর সেতু । এই এলাকাতেই রয়েছে মিজিক্যাল ফাউন্টেন। যার আয়তন ১৫ হাজার বর্গফুট। সেখানে দর্শকদের বসার জন্য স্টেডিয়ামের মত ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
 

এই কমপ্লেক্সে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গেম জোন তৈরি করা হয়েছে। এটি ফুট কোর্টও রয়েছে। যা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।

বিশ্বমানের নিরাপত্তা সারঞ্জাম ব্যবহার করে একটি বাঞ্জি জাম্পিংয় টাওয়ার তৈরি হয়েছে। এটির উচ্চতা ১৮৫ ফুট। এখান থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। 
 

শিব মূর্তির উচ্চতা ৩৬৯ ফুট। আর শিব মূর্তির ২৭০  ও ২৮০ ফুট উচ্চতায় দুটি ভিউয়িং গ্যালারি রয়েছে। যা দর্শকদের বেশি টানবে। এখান থেকে দেখা যায় শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ওঠার জন্য লিফট আর সিঁড়ি দুটোই রয়েছে।