ত্বকে হঠাৎ করে সাদা ছোপ ছোপ দেখা গেলেই আঁতকে ওঠেন অনেকে। এই ছোপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। ত্বকের এই রোগকে বলা হয় শ্বেতী। শ্বেতী সেভাবে শারীরিক ক্ষতি না করলেও শ্বেতী মানসিক ভাবে মানুষকে অবসাদ গ্রস্ত করে তোলে। কিন্তু এই রোগ আসলে কী, কেন হয়, জেনে নেওয়া যাক-
ত্বকের স্বাভাবিক রংয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে মেলানিন। মেলানোসাইট কোষে এটি থাকে। এই মেলানিনের ভারসাম্য ব্যাহত হলেই ত্বকে শ্বেতী দেখা যায়। এক হেলথ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই মুহূর্তে বিশ্বে ১০ কোটি মানুষ শ্বেতীর শিকার।
তবে শুধু মেলানিনের ভারসাম্যের জন্য নয়। বংশগত ভাবেও শ্বেতীতে আক্রান্ত হন অনেকে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে ত্বকে মেলানিনের ভারসাম্যের জন্য এই রোগ হয়। এছাড়াও যাঁদের ডায়াবিটিস, হাইপার থায়রয়েড থাকে তাঁদের শ্বেতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এতো গেল শ্বেতী ঠিক কী কারণে হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক শ্বেতী শরীরের কোন অংশে হয়-
শ্বেতী হওয়া শুরু হয় কনুই, বুক ও মুখ থেকে। ধীরে ধীরে এগুলি ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারা মুখে বা হাত-পায়। কিন্তু অনেক সময়ে সারা শরীরে এমন ভাবে শ্বেতী হয় মনে হয় যেন আসল গায়ের রং এটাই। আবার অনেক সময়ে শ্বেতী এক জায়গাতেই আটকে থাকে। সাধারণত ১০-১২ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেই শ্বেতী হয়।
শ্বেতী সারবে কী ভাবে-
চিকিৎসকরা শ্বেতীর অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ লাগানোর পরামর্শ দেন। কম অংশ জুড়ে শ্বেতী হলে মলমেই সেরে যায়। কিন্তু বড় অংশ জুড়ে শ্বেতী হলে ৩-৪ বছরও সময় লাগতে পারে। আবার অনেক সময়ে অস্ত্রপচারও করতে হতে পারে। ২-৩ বছর পরেও যেই শ্বেতীর কোনও পরিবর্তন হয় না, তাকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমেই সারাতে হয়। তবে কম অংশে শ্বেতী থাকতে থাকতে চিকিৎসা করানো উচিত।