৩৫ ব্যাঞ্জনে অমিত শাহ-এর রসনা-রাজনীতি! কী কী পদ থাকছে খাদ্য তালিকায়

  • মঙ্গলবারই অমিত শাহের ডিনার পার্টি।
  • দিল্লি অশোক হোটেলে আয়োজিত হবে।
  • আমন্ত্রিত এনডিএ-র সবকটি দলের নেতারা।
  • অন্তত ৩৫ রকমের পদ থাকছে নৈশভোজে।

 

amartya lahiri | Published : May 21, 2019 8:12 AM IST / Updated: May 21 2019, 01:54 PM IST

মঙ্গলবারই দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের ডিনার পার্টি। দিল্লি অশোক হোটেলে আয়োজিত এই নৈশভোজে আমন্ত্রিত এনডিএ-র সবকটি দলের নেতারা। কী কী পদ থাকছে এই নৈশভোজে? দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্তত ৩৫ রকমের পদ থাকবে মঙ্গলবার রাতের পার্টিতে। আর এই মেনু এদিনের পার্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ ৩৫ ব্যাঞ্জনের মাধ্যমেই বিভিন্ন রাজ্যে এনডিএ নেতাদের প্রতি ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন অমিত শাহ। নৈশভোজে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

বিহারী বাবুদের জন্য

অমিত শাহের নৈশভোজে যোগ দেবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। থাকবেন বিহারে এনডিএ-এর আরেক শরিক দলের নেতা রামবিলাস পাসওয়ান-ও। এই দুই বিহারী বাবুর রসনা তৃপ্তিতে খাদ্য-তালিকায় রাখা হচ্ছে দুই থেকে তিনটি বিশেষ বিহারী পদ।

উদ্ধব না আসলেও

এনডিএ-এর মহারাষ্ট্রের শরিক শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকেও এই নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তিনি আপাতত ইউরোপ সফরে রয়েছেন। তাই তিনি এদিনের পার্টিতে যোগ দিতে পারবেন না। তবে দলের নেতা সুভাষ দেশাই-কে পাঠানো হচ্ছে। উদ্ধব না থাকলেও শিবসেনার রসনাতৃপ্তিতে থাকছে মারাঠি পদ পোরনপোলি।

উত্তর-পূর্ব যেন অবহেলিত না হয়

গত কয়েক বছরে ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দল এনডিএ-তে সামিল হয়েছে। সেই দলগুলির নেতারাও অবশ্যই ডিনারে আমন্ত্রিত থাকবেন। তাঁরা যাতে অবহেলিত বোধ না করেন সেদিকে কড়া নজর দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি বিশেষ পদেরও ব্যবস্থা করা হবে।

মশলাদার পাঞ্জাবি খানা

এনডিএ-এর অন্যতম পুরনো শরিক পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল। তাঁদের নেতাদের জন্য নৈশভোজের খাদ্য তালিকায় পাঞ্জাবি মশলাদার খানাও থাকছে।

যা অবশ্যই থাকবে

সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুজনেই নৈশভোজে থাকবেন। দুজনেই গুজরাতের। কাজেই খাদ্য তালিকায় গুজরাতি ধোকলা ইত্যাদি যে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।

নৈশভোজের লক্ষ্য

বিজেপি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এই নৈশভোজের প্রধান উদ্দেশ্য এনডিএ জোটের ঐক্যকে অটুট রাখা। ২০১৪ সালে মোদী সরকার আসার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এনডিএ-র বিভিন্ন শরিক দল বিজেপির বিরুদ্ধে শরিকদের অবহেলার অভিযোগ করেছে। কিন্তু, তাদের বিজেপি কতটা গুরুত্ব দেয়, তা বোঝাতেই নৈসভোজের খাদ্য তালিকা বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। নৈশভোজের খাদ্যতালিকার মাধ্যমেই বার্তা দেওয়া হবে যে, এনডিএ জোটে বিভিন্ন প্রদেশের নেতারা থাকলেও তারা সকলেই বৃহৎ এনডিএ পরিবারের সদস্য।

 

Share this article
click me!