সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর- আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপিকে আটকাতে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে মাঠে নেমেছে তৃণমূল। দলের সাংগঠনিক স্তরে যাতে কোনও সমস্য়া না হয় সে জন্য সংগঠনের রাশ পুরোপুরি নিজের হাতেই রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী। এই জরুরি অবস্থায় দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে সামনের সারিতে রেখেছেন তিনি। কিন্তু সাংগঠনিক স্তরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর থেকে এখন অনেকটাই দূরে। পাশাপাশি, শুভেন্দুর নিজের গড় পূর্ব মেদিনীপুরেও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি শুরু করেছে বিজেপি। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করছেন নেতা কর্মীরা।
আরও পড়ুন-ইঁদূরের কারসাজি, অগুন আর ধোঁয়াতে ত্রাহি ত্রাহি রব জেলা শাসকের দফতরে
শুভেন্দুর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামেই ভাঙল ধরেছে তৃণমূলে। কয়েক দিন আগেই প্রায় ৭০০ জন তৃণমূল নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন। পাশাপাশি, নন্দীগ্রামেই ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে জেলার নেতৃত্বের ২২৫ জনকে শোকজও করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। আমফান ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আবার, তৃণমূল কিংবা সরকারি ব্য়ানারে শুভেন্দু অধিকারীর নাম চোখে পড়েনি। ত্রাণ বিলির সময়েও সরকারি বা তৃণমূলের ব্য়ানার নিজেও ব্য়াবহার করেননি শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন-কোভিড যোদ্ধাদের পাশে সরকার, স্বাস্থ্য বিমার মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ মমতার
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাংগঠনিক স্তরে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরানো হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠদের। এরপর থেকেই জেলা জুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পাশপাশি, কোনও রকম রাজনৈতিক ব্য়ানার ছাড়াই তমলুকে জুড়ে লাগানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার। সেখানে তাঁকে সমাজসেবী বলে তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন-আলুর বাজারে আগুন, একলাফে বাড়ল ১৫০ টাকা
অন্যদিকে, শুভেন্দু নাকি তৃণমুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। আবার কেউ বলছেন নিজে নতুন দল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কোনটা ঠিক? তা এখনও পর্যন্ত খোলসা করেননি শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। এই অবস্থায় অধিকারী গড় পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন করে অক্সিজেন পেতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। জেলায় শুভেন্দুর মাটি হালকা হওয়ায় সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যা কিনা রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।