সাতসকালে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে। স্থানীয়রা জানান, গ্রামের একটি গাছ থেকে ভোরবেলা পাওয়া গিয়েছে ওই দেহ। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই ব্যবসায়ীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলে প্রশান্ত কিশোর, কী বললেন পার্থ
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি আলু পেঁয়াজের ব্যবসায়ী। ওই ব্য়ক্তির নাম গৌতম দে (৩৬)। নারায়ণগড় থানার অন্তর্গত পারুলদা গ্রামের বাসিন্দা গৌতমবাবু। বৃহস্পতিবার ভোরে ব্যবসার টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। বাইক নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি। তার সঙ্গে মোটা টাকা ছিল বলেই দাবি পরিবারের। সকালে গ্রামের পাশে মাঠে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। ঝুলন্ত দেহটি বেলা বাড়তেই দড়ি ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায়।
আগুন নেভাবে রোবট, আধুনিকীকরণে ঢেলে সাজছে দমকল
পরিবার ও গ্রামবাসীদের দাবি , গৌতমবাবুর মৃত্যুর কোনও কারণ ছিল না। কেউ টাকা লুঠ করার উদ্দেশ্যেই নৃশংসভাবে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূর পর্যন্ত ধস্তাধস্তির বহু চিহ্ন রয়েছে। দূরেই পড়েছিল তার মোটরবাইক ও হেলমেট। ফলে মৃত্যুর আগে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে বলেই গ্রামবাসীরা মনে করছে।
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অপরাধ, সাসপেন্ড হলেন প্যান্টালুনসের ২৫জন কর্মী
স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে নারায়ণগড় থানার পুলিশ সেখানে হাজির হলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, এটা পরিকল্পিত খুন। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনওভাবেই এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে বলা যায় না।পুলিশ যাতে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে উড়িয়ে না দিতে পারে, তার জন্য দেহ আটকে রেখে বিভিন্ন প্রমাণ তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা। বেশ কয়েকঘণ্টা বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে দেহ তুলে নিয়ে যায়।