পিপিই পরিয়ে চিকিৎসা 'করোনা রোগী'র, আতঙ্ক ছড়াল তমলুক জেলা হাসপাতালে

  • সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল
  • সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা 'করোনা রোগী'র
  • আতঙ্ক ছড়াল তমলুক জেলা হাসপাতালে
  • ক্ষুদ্ধ রোগীর পরিজনেরা

Asianet News Bangla | Published : Aug 22, 2020 11:13 AM IST

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর:  সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীকে কেন পিপিই পরিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে? করোনা আতঙ্ক ছড়াল সরকারি হাসপাতালে। ক্ষুদ্ধ অন্য রোগীর পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে।

আরও পড়ুন: ফের বেআইনি অস্ত্র কারবারের পর্দাফাঁস বসিরহাটে, হাতেনাতে পাকড়াও বিজেপি নেতা

যতদিন যাচ্ছে, করোনার আতঙ্ক ততই বাড়ছে।  স্রেফ সাধারণ মানুষ নন, নেতা-মন্ত্রী-আমলা-পুলিশকর্মী সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই নেই কারও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাপ্তাহিক লকডাউন চলছে রাজ্যে। প্রতিটি জেলায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আলাদা কোভিড হাসপাতাল খুলেছে সরকার। কিন্তু তাতেও কি আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে? খোদ জেলা হাসপাতালেই তো সাধারণ ওয়ার্ডে চলছে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসাও! আতঙ্কিত অন্য রোগীদের পরিবারের লোকেরা।

ঘটনাটি ঠিক কী? জানা গিয়েছে, রবিবার পেটের যন্ত্রণার উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধ ভর্তি হন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক জেলা হাসপাতালে। যথারীতি তাঁর করোনা পরীক্ষাও করা হয়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধের লালারস পরীক্ষা জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়। নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন তমলুক হাসপাতালে লালারস পরীক্ষা করা হয়, তখন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে! আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।

আরও পড়ুন: আহমদাবাদ বিস্ফোরণকাণ্ডে জুড়ল বাংলার নাম,বসিরহাটে গ্রেফতার সন্দেহভাজন

কোভিড হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা তো দূর, পিপিই পরিয়ে সাধারণ ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের সঙ্গে 'করোনা আক্রান্ত' বৃদ্ধকেও রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত অন্য রোগীর পরিজনেরাও। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের করিডোর যাতায়াতে পথের পাশে একটি বেডে রয়েছেন ওই বৃদ্ধ। ফলে অন্য রোগে চিকিৎসা করাতে যাঁরা হাসপাতালে এসেছেন, তাঁরা সংক্রমিত হতে পারে। বিপদে পড়তে পারে সদ্যোজাতরা শিশুরাও। শেষপর্যন্ত অবশ্য রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাঁশকুড়ার বড়মা কোভিড হাসপাতালে। 

Share this article
click me!