মোবাইলের আলো দেখে তেড়ে এল হাতি, চাষের জমিতে বেঘেরো প্রাণ গেল যুবকের

  • ফের হাতির জঙ্গলমহলের গ্রামে
  • চাষের জমিতে প্রাণ গেল কৃষকের
  • বনদপ্তরের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা
  • মেদিনীপুর সদর ব্লকের ঘটনা 

Asianet News Bangla | Published : Jul 30, 2020 9:08 AM IST / Updated: Jul 30 2020, 02:40 PM IST

শাজাহান আলি, মেদিনীপুর:  মোবাইলের আলোই কি কাড়ল প্রাণ? চাষের জমিতে হাতির হামলায় বেঘোরে মারা গেলেন এক কৃষক। বন দপ্তরের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকে।

আরও পড়ুন: ডাম্পারের ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু, পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ফাঁসিদেওয়া

মৃতের নাম রুদ্র মাহাতো। বাড়ি, মেদিনীপুর সদর ব্লকের সুন্দরলাটা গ্রামে। নিজের জমিতে চাষাবাদ তো ছিলই, স্থানীয় গুড়গুড়িপাল থানায় হোমগার্ড পদে চাকরিও করতেন বছর ছাব্বিশের ওই যুবক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার সব্ধ্যায় পর গ্রামে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকটি হাতি। চাষের জমিতে হাতির দল রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। এমনকী, সাবমার্সিবেল পাম্পগুলিও যে আর আস্ত নেই, তা বুঝতে পেরেছিলেন সকলেই। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় হাতিগুলিকে তাড়ানোর সাহস দেখাননি কেউই।

হাতিগুলি তখন কিছুটা দূরে চলে গিয়েছে। সাবমার্সিবেল পাম্পের ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য় জমিতে নেমেছিলেন রুদ্র। ঘুটঘুটে অন্ধকারে মোবাইলে আলোটি জ্বেলে নেন তিনি। আর সেটাই কাল হল।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মোবাইলে আলো দেখে হাতিগুলি তেড়ে আসে এবং ওই যুবককে পা থেঁতলে মেরে ফেলে। শেষপর্যন্ত গ্রামবাসীরা যখন দলবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে যান, তখন জমিতে রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

আরও পড়ুন: বাড়ির ছাদে মানুষের মাথার খুলি, লকডাউনে মাঝেই চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে

উল্লেখ্য, জঙ্গমহলের গ্রামগুলিতে এমনিতে হাতির আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে ইদানিং খাবারে সন্ধানে হাতিদের লোকালয়ে ঢুকে প্রবণতা বেড়েছে। এর আগে বুধবার ভোরেও গুড়িগুড়িপাল এলাকায় একটি গ্রামে ঢুকে দু'পাকা বাড়ি ভেঙে দিয়েছিল হাতি। ঘুমন্ত অবস্থায় গুরুতর আহত হন দু'জন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাতিদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া কিংবা তাঁদের হাতি তাড়ানোর সরঞ্জাম দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা করেনি বন দপ্তর।

Share this article
click me!