শতবর্ষ পার বৃদ্ধার শেষযাত্রায় দেদার বাজনা, নাতিদের কীর্তি দেখে হতবাক সকলেই

  • বৃদ্ধার শেষ যাত্রায় দেদার বাজনা নাতিদের
  • নাতিদের কীর্তি দেখে হতভম্ব হলেন স্থানীয়রা
  • কেনই বা বৃদ্ধার শেষকৃত্য বাজনা
  • বিষয়টি খোলসা করলেন নাতিরাই

Asianet News Bangla | Published : Nov 28, 2020 1:27 PM IST / Updated: Nov 28 2020, 07:00 PM IST

শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-একশো বছরের উপর জীবীত ছিলেন বৃদ্ধা। করোনা আবহে তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর নাতিরা। ঠাকুমার শেষযাত্রায় তাঁরা বাজনার আয়োজন করলেন। বৃদ্ধার শ্মশানযাত্রায় এই নজিরবিহীন দৃশ্য দেখে হতবাক হলেন সকলেই। রীতিমত তাসা পার্টির আয়োজন করে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল শতবর্ষ পার বৃদ্ধার।

আরও পড়ুন-শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই তৃণমূলের পার্টি অফিস 'দখল', বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত খেজুরি

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এলাকায়। ওই এলাকার বালা গ্রামের বাসিন্দা দুর্গা হাতি। একশো বছরের বেশি বেঁচেছিলেন বলে দাবি পরিবারের। শুক্রবার রাতে তিনি প্রয়াত হন। দুর্গা দেবীর সাত সন্তান। মধ্যবিত্র পরিবারে এই বৃদ্ধার পাঁচ নাতি নাতনী। এই অবস্থায় ঠাকুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ নাতিরা। ঠাকুমার শেষকৃত্যে পটকা ফাটিয়ে, বাজনা বাজিয়ে কার্যত সেলিব্রেশনের মুড়ে ঠাকুমাকে শ্মশানে নিয়ে গেলেন। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে এই নজিরবিহীন দৃশ্য দেখে হতবাক হলেন সকলেই। কিন্তু, শোকের সময় কেনই বা এত আয়োজন?

আরও পড়ুন-তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিকে খোদ মন্ত্রীর ভাই, ভোটের আগে বাংলায় বদলাচ্ছে রাজনৈতিক চালচিত্র

ঠাকুমার শেষকৃত্যে বাজনা বাজানের নেপথ্যে রয়েছে অন্য গল্প। তা নিজেই খোলসা করলেন নাতিরা। জানালেন মৃত্যুর আগে নাতিদের কাছে এই ইচ্ছেই প্রকাশ করেছিলেন ঠাকুমা। তাই তাঁর ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়ে এই বাডনার আয়োজন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। একজন নাতি জানালেন, একশো কুড়ি বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন তাঁদের ঠাকুমা। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁদের আদরের ঠাকুমার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁরা।


 

Share this article
click me!