শাজাহান আলি, মেদিনীপুর: ভারতের বেড়াতে এসে সটান বিয়ে! ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, এমনকী আধার কার্ড বানিয়ে জমিয়ে সংসারও করছিল সে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এদেশের পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল এক বাংলাদেশী তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে।
আরও পড়ুন: হুলস্থুল কাণ্ড খড়গপুরে, জামিনে মুক্ত ধর্ষণে অভিযুক্তকে অপহরণের চেষ্টা, গ্রেফতার নাবালিকা
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম জুলি দাস। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে ২০১৮ সালে। আর ফেরেনি, থেকে যায় রেলশহর খড়গপুরে। শুধু তাই নয়, খড়গপুরের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা দেবাশিষ দাস নামে এক যুবককে বিয়েও করে জুলি। ওই যুবক পেশায় রেলকর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর নিজের নামে স্কুলের সার্টিফিকেট, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, এমনকী, প্যান কার্ড বানিয়ে ফেলে বাংলাদেশি তরুণী। আর কী! স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করছিল সে।
তারপর? প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে যান জুলির মা জ্যোৎস্নারানী দে। এরপর ২০১৯ সালে 'নিজের দেশে' যাওয়ার জন্য জুলি ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে। ভেরিফিকেশন পর্বে আবেদনকারীর দেওয়া তথ্যে সন্দেহ হয় পাসপোর্ট অফিসের আধিকারিকদের। ঘটনাটি জানানো হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে। কী ব্যাপার? চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে খোঁজখবর নিতে শুরু করে খড়গপুর থানার পুলিশ। এরইমধ্যে আবার করোনা সতর্কতায় লকডাউন জারি হয়ে যায়। ফলে তদন্তের কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। শেষপর্যন্ত বুধবার বাংলাদেশের জুলি দাস-কে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন: লাগাতার প্রতিবাদে পিছু হটল সিইএসসি,অতিরিক্ত বাদে জুনের বিল পাঠাবে সংস্থা
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিল জুলি? তদন্তকারীদের অনুমান, বাবার মৃত্যুর পর আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে এদেশে আসে ওই তরুণী। এরপর প্রাপ্ত বয়সে পৌঁছানো আগে খড়গপুরের যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় তার। জুলি কি এখনও নাবালিকা? ভারতীয় পরিচয়পত্রগুলিইবা কীভাবে জোগাড় করল সে? সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।