আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্বভারতীকাণ্ড নিয়ে বৈঠক করলেন জেলাশাসক। প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক, সাংসদ, প্রাক্তন ও প্রবীণ আশ্রমিকরা, সকলেই উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। গরহাজির থাকলেন স্রেফ বিশ্বভারতীর প্রতিনিধিরাই! আলোচনার বিষয়বস্তু জানিয়ে দেওয়া হবে নবান্নে।
আরও পড়ুন: পাঁচিল ভাঙার বিরোধিতার 'মাশুল', বোলপুরে পদ্মশ্রী প্রাপকের মূর্তিতেও কালির আঁচড়
আদালতের নির্দেশে পৌষমেলা মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত্র। সোমবার ধিক্কার মিছিল করতে দিয়ে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে রীতিমতো ভাঙচুর চালালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাঁচিল তৈরির যন্ত্রাংশ, বিশ্বভারতীর গেট, অস্থায়ী ক্যাম্প কিছুই আর আস্ত নেই। সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে নিয়ে বীরভূমের জেলাশাসককে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বৈঠক হয় বোলপুরে, মহকুমাশাসকের দপ্তরে। জেলাশাসক নিজে তো হাজির ছিলেনই, বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পুলিশ সুপার শ্যাম সিং, সাংসদ অসিত মাল, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের প্রথম দূষণবিহীন ই-লোডার গাড়ি
বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, 'বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছাড়া সকলেই উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন জন মত দিয়েছেন। তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। নবান্নে পাঠানো হবে। পরবর্তীকালে যদি ফের বৈঠক ডাকা হয়, তাহলে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানানো হবে।' পৌষমেলার মাঠে ভাঙচুরের ঘটনা তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলর-সহ ন'জন বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আটজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এদিকে আবার এদিন প্রাচীর তোলার প্রতিবাদে সংগীত ভবনের সামনে গান গেয়ে প্রতিবাদ জানান বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীদের একাংশ। প্রাক্তনী শ্যামল চন্দ বলেন, ' বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ছিলেন প্রয়াত শান্তিদেব ঘোষ। তাঁর বাড়ির সামনেও ১০ ফুট উঁচু পাঁচিল তুলে গিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এরই প্রতিবাদ জানালাম আমরা। তবে পৌষমেলার মাঠে তাণ্ডবেরও তীব্র নিন্দা করছি।'