আমফান ক্ষতিপূরণের টাকা খরচ 'মধুচক্র'-এ, তৃণমূল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

  • আমফানে ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ
  • ক্ষতিপূরণের টাকায় 'মধুচক্রে যোগদান'
  • কাউন্সিলের 'কীর্তি'তে শোরগোল কাঁথিতে
  • তৃণমূলের পার্টি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

Asianet News Bangla | Published : Jul 11, 2020 12:31 PM IST

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর: স্রেফ স্বজনপোষণ কিংবা দুর্নীতিই নয়, আমফান ক্ষতিপূরণের টাকায় মধুচক্রে যোগ দিচ্ছেন কাউন্সিলর! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে এবার তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে দিয়েছে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর।

আরও পড়ুন: রাতবিরেতে চলত মহিলাদের আনাগোনা, লকডাউন উঠতেই হাতেনাতে ধরা পড়ল মধুচক্র

আমফান ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোথাও পঞ্চায়েত প্রধানকে বহিষ্কার তো, কোথাও আবার দলের নেতাদের শোকজ করেছে তৃণমূল। কিন্তু তাতেও সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কমার কোনও লক্ষণ নেই।  ঘুর্ণিঝড়ে যাঁরা সত্যি  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের সর্বত্র। অবরোধ-বিক্ষোভ চলছে বিভিন্ন জায়গায়। ব্যতিক্রম নয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও। তৃণমূল কাউন্সিলরের 'কীর্তি'তে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অধিকারীদের খাসতালুক কাঁথি শহরে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,  আমফানের ত্রাণ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন  ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রতাপ মাইতি। ঘনিষ্টদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়ে কাটমানি নিয়েছেন তিনি। আর সেই টাকায় বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে যোগ দিচ্ছেন মধুচক্রে! অথচ ঘুর্ণিঝড়ে যাঁদের বাড়ি ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা একটি ত্রিপলও পাননি। উল্টে ত্রাণ চাইতে গেলে তাঁদের অপমান করছেন কাউন্সিলর। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কাঁথিতে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: নগদ টাকার 'টোপ', রায়গঞ্জে ধরা পড়ল করোনা আক্রান্ত যুবক

কী বলছেন অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর প্রতাপ মাইতি? যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। কাউন্সিলরের সাফাই, এলাকায়  গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা চূড়়ান্ত করেছেন মহকুমাশাসকের দপ্তরের কর্মীরা। তিনি বা অন্য কোনও কাউন্সিলরের এক্ষেত্রে ভূমিকা নেই। তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার চক্রান্ত চলছে।

Share this article
click me!