মাদক কেনাবেচার অভিযোগে গ্রেফতার,৩১ বছর পর নির্দোষ প্রমাণিত হলদিয়ার মহিলা

  • মাদক কেনাবেচার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেল
  • ৩১ বছর ধরে আইনি লড়াই লড়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ
  • এমনই অসাধ্য় সাধন করলেন হলদিয়ার এক মহিলা
  •  রাজনৈতিক কারণে মহিলাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মত আইনজীবীর

Asianet News Bangla | Published : Sep 30, 2020 11:27 AM IST / Updated: Sep 30 2020, 05:00 PM IST

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর : মাদক কেনাবেচা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছিলেন প্রায় আড়াইবছর। দীর্ঘ প্রায় ৩১ বছর ধরে আইনি লড়াই লড়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করলেন হলদিয়ার এক মহিলা। রাজনৈতিক কারণে মহিলাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মত আইনজীবীর। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।

দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে অশ্লীল মন্তব্য, প্রতিবাদ করলে প্রতিবেশী দাদাকে মারধর

১৯৮৯ সালের ৭ই এপ্রিল হলদিয়ার দুর্গাচক এলাকার এক মহিলা (পরমা মাজি) মাদক রাখা, মাদক কেনাবেচার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মাদক আইন ও আবগারি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আড়াই বছর ধরে জেল খাটার পর তিনি অবশ্য জামিনে ছাড়া পান। জেলবন্দি থাকাকালীন তার স্বামীও মারা যান। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রায় ৩১ বছর ধরে চলতে থাকে আইনি টানাপোড়েন। 

মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদল, বাংলা থেকে জায়গা পেতে পারেন তিন সাংসদ

বাড়ি-আদালত বিভিন্ন আইনি সহায়তা কেন্দ্র ঘুরতে থাকেন সুবিচারের আশায়। অবশেষে ২৯শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার তমলুক জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায় ওই মহিলাকে নির্দোষ হিসেবে বেকসুর খালাস করে দেন। এবং তার জীবনের যে সময় নষ্ট হয়েছে তার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে তার মক্কেলকে তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকার পুলিশকে দিয়ে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছিলেন। 

যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা ছিল বলে উনি জেল খেটেছিলেন। পরবর্তীকালে ওনার পরিবার এখন তৃণমূল হয়ে গেছেন। তাই রাজ্যের শাসকদল পুলিশকে দিয়ে কেস ডায়েরি না দেওয়ায়, তিনি বেকসুর খালাস করে দেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল  নেতৃত্ব।

হাসিন জাহানকে ফোনে খুনের হুমকি,তদন্ত কতদূর জানতে চাইল হাইকোর্ট 

সিপিএম যে তাদের রাজত্বকালে কীভাবে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতো, আদালতের রায়ে আজকে তা প্রমাণ মিলেছে। আর যাকে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, সেই ষাটোর্ধ মহিলা আজ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পেরে খুশি হলেও কারও বিরুদ্ধে তার কোনও অভিযোগ নেই। তার একটাই কথা, এবার অন্তত শান্তিতে মরতে পারবো।

Share this article
click me!