মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় নাম থাকা দাউদ ইব্রাহিমের ঘরেও এবার থাবা বসাল মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস। প্রায় এক সপ্তাহ করোনার জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে হার মানতে হল দাউদের ভাইয়ের ছেলে সিরাজ কাসকারকে। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী পাকিস্তানের করাচির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সিরাজ কাসকারের।
সিরাজের বাবা সাবির কাসকার প্রথম থেকেই দাউদের ডানহাত হিসেবে কাজ করত। মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ডের একটি বিশেষ গ্যাং-এর নেতৃত্ব ছিল তার হাতে। কিন্তু ১৯৮৯ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি পাঠান গ্যাং-এর সঙ্গে তার লড়াই হয়েছিল। সেইসময় গ্যাংস্টার মনয়া সুরভের গুলিতে নিহত হয় সাবির। মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ডের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে তাই নিয়ে পাঠান গ্যাং-এর সঙ্গে দাউদের শত্রুতা শুরু হয়েছিল। পরবর্তীকালে আরও একাধিক দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। ক্রমেই মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ডের একাধিপত্য প্রতিষ্টা করে দাউদ। ভাইয়ের মৃত্যুর পরই সিরাজের দায়িত্ব গ্রহণ করে দাউদ।
কেন্দ্র কি প্রত্যাহার করবে কৃষি আইন, মোদীর পর কী ইঙ্গিত দিলেন ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ...
সব খতিয়ে দেখতে ২ দিনে ৪ রাজ্যে ড্রাই রান, তারপরই শুরু হয়ে যাবে করোনা টিকা কর্মসূচি ..
মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রের খবর গত সপ্তাহেই করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল সিরাজ। প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। করাচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। ক্রমেই অবস্থার অবনতি হয়। লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় মৃত্যু হয় সিরাজের। ক্রাইম ব্রাঞ্চের গোয়েন্দাদের দেওয়া খবর অনুযায়ী দাউদের পরিবারের লোকেরাও একই কথা বলেছেন। করাচির ক্লিফটোন এলাকায় দাউদের অট্টালিকার পাশেই একটি বাড়িতে থাকত ৩৮ বছরের সিরাজ। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে এই তথ্য আসার পরে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল দাউদ ইব্রাহিম এখনও রয়েছে পাকিস্তানে।