সংক্ষিপ্ত

  • আগামী সপ্তাহে ৪ রাজ্যে ড্রাই রান 
  • করোনা টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি দেখতে 
  • ৪ রাজ্যের দুটি জেলা বেছে নেওয়া হয়েছে 
  • আগামী মাস থেকে শুরু হতে পারে টিকাকরণ 
     

দু দিন ধরে চলবে ড্রাই  রান। তারপরই করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খুব তাড়াতাড়ি করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়ে যেতে পারে দেশে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার দেশের চারটি রাজ্যে ড্রাই রান চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ড্রাইরানের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হবে গোটা দেশে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি। আর সেই জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, পঞ্জাব, গুজরাত, অসম ও অন্ধ্রপ্রদেশকে। 

 

 

দেশের চারটি অঞ্চলে ড্রাই রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের দুটি করে জেলায় টিকা করণের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। আর সেই কারণে পাঁচ ধরনের মেডিক্যাল পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জেলা হাসপাতাল, কমিউনিটি ও জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নগর  ও গ্রামীণ অঞ্চল ও বেসরকারি কেন্দ্রগুলিতে ড্রাই রানের পরিচালনা করা হবে। যে কোনও সম্ভাব্য প্রতিকূল অবস্থার পাশাপাশি কম ড্রিলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রাই রানের মাধ্যমে কো-ইউন ভ্যাক্সিন রেজিস্ট্রেশন অ্যাপের ব্যবহারও পরীক্ষা করা হবে। স্টোরেজ ও পরিবহণের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি মেডিক্যালকেন্দ্রগুলিকে কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে তাও বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। 

পঞ্জাবের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলবীর সিং সিধু বলেছেন, ড্রাই রানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যাবে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ যখন চালু হবে তখন কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। টিকা প্রদান কেন্দ্রের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও বুঝতে পারবে আগামী দিনে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সুষ্ঠুভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি কোনও রকম বাধার সম্মুখীন হবে না। 

করোনার নতুন স্ট্রেন সংক্রমণের সঙ্গে বাড়াতে পারে মৃত্যুও, দেশে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে লাগবে ২৪ ঘণ্টা ..

কেন্দ্র কি প্রত্যাহার করবে কৃষি আইন, মোদীর পর কী ইঙ্গিত দিলেন ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ..

কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর ভ্যাক্সিন রোল আউট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অখেনও অবধি ২৩৬০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অধিবেশবন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭০০০ মেডিক্যাল অফিসার, ভ্যাক্সিনেটর, বিকল্প ভ্যাক্সিনেটর কোল্ড চেইন হ্যান্ডলার, সুপারভাইজার, ডেটা ম্যানেজার, আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।জানুয়ারি মাসের যে কোনও সপ্তাহ থেকেই দেশে টিকাকরণ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে বলেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ইতিমধ্যে ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে ভারত বায়োটেক, সেরাম ও ফাইজার ইনক আবেদন জানিয়েছে। সূত্রের খরব প্রথম ছাড়পত্র পেতে পারে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকার বিকাশ করা সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড। কারণ এখনও পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য জমা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে সেরাম। আগামী ৬-৭ মাস প্রথম পর্যায়ে দেশের তিন কোটি স্বাস্থ্য কর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের সঙ্গে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে।   করোনা টিকা দেওয়া হবে।