শেষবেলায় গদি বাঁচাতে মরিয়া ইমরান খান, দেশের মানুষকে রাস্তায় নামতে আহ্বান

রবিবার অনাস্থা ভোট পাকিস্তান সংসদে। রাজনৈতিক জীবনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ইমরান খান। শেষবেলাতেও টিকা থাকার চেষ্টা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।

Saborni Mitra | Published : Apr 2, 2022 3:55 PM IST

অনাস্থা ভোটের আগে দেশেরবাসীর সহানুভুতি আদায় করাতে মরিয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার পাকিস্তান সংসদে অনাস্থ ভোটের মুখোমুখি দাঁড়াতে ইমরান ও তাঁর পাকিস্তান-তেহরিক ই ইনসাফ পার্টি বা পিটিআইকে। কিন্তু তার আগেও গদি বাঁচাতে শেষ চাল দিলেন তিনি। ইমরান বলেন, রাস্তায় নেমে আন্দোলন করুন- পাকিস্তানের জনতার উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। সঙ্গে তিনি বলেন বিদেশী শক্তিগুলি তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে উৎখাত করে ইসলামাবাদের দখল নিতে চাইছে। 

দীর্ঘ দিন ধরেই পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী শাসনকালের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। সেই অবস্থারই পূনরাবৃত্তি ঘটল ইমরানের বেলাতেও। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চলতে যেতে হবে তাঁকে। রাজনৈতিক জীবনের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, তিনি বলেন শেষ বল পর্যন্ত তিনি খেলবেন। 

এদিন ইমরান খান বলেন, তিনি পরিকল্পনা করেছেন কীভাবে এই অসাস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন। কীভাবে সংসদে বিরোধীদের মোকাবিলা তিনি করবেন তা দেশের মানুষ দেখতে পাবেন বলেও জানান তিনি। তবে দেশের মানুষের প্রতি তাঁর আর্জি, তারা যেন সজাগ থাকে। জীবিত থাকে। আর সেইজন্যই দেশের মানুষকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, দেশে এমন কিছু ঘটবে যাতে দেশের মানুষকে রাস্তা নেমে আন্দোলন করতে হবে। তারপরই তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের সকলকে রবিবার রাজপথে নামার আহ্বান জানাচ্ছি।নিজের স্বার্থে দেশের স্বার্থা আর ভবিষ্যতের জন্য রাস্তায় নামুন।' তবে কেই তাদের বাধ্য করবে না বলেও জানিয়েছেন। 

গতসপ্তাহেই ইমরান খান ও তাঁর তেহরিক ই ইনসাফ পার্টি পাকিস্তান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ৩৪২ আসনের পাকিস্তান সংসদে ক্ষমতা দখলের ম্যাজিক ফিগার ১৭৫। সাত জন সংসদ দল বদল করায় বিপাকে পড়েছেন ইমরান। রবিবার পাকিস্তান সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে তাঁকে। 

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন তিনি একটি স্বাধীন বিদেশনীতি চালু করতে চেয়েছিলিন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি ভারত বিরোধী। কাশ্মীর থেকে যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল তিনি তখন প্রবলভাবে তার বিরোধিতা করেছিলেন। আন্তর্জাতিক স্তরে গিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চেয়েছিল। কথা প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তারপরেও ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সামনে দাঁড়িয়ে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করেছে। তিনি বলেন ভারতের বিদেশনীতি শুধুমাত্র ভারতীয়দের জন্য। তেমনই একটি বিদেশনীতি তিনি পাকিস্তানের জন্য চালু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা মেনে নেওয়া হয়নি। 

স্বামী নয়- স্ত্রী দেবে খোরপোশের টাকা, ঐতিহাসিক রায় বম্বে হাইকোর্টের

কোভিড-১৯ এর নতুন বংশধর XE চিন্তা বাড়াচ্ছে, আগের তুলনা ১০ গুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য

ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করছে রাশিয়া- আশঙ্কা আমেরিকার, কিয়েভ যেতে পারেন পোপ

Share this article
click me!