ভাইরাল হল পাকিস্তানের (Pakistan) পিএমএল-এন (PLM(N)) দলের বিধায়িকা সানিয়া আশিকের (Sania Ashiq) একটি ভিডিও। এর পিছনে ইমরান খানের (Imran Khan) হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের (Pakistan) ইমরান খান (Imran Khan) সরকার যে তার বিরোধীদের কড়া হাতে দমন করে, তার পরিচয় এর আগে বেশ কয়েকবার পাওয়া গিয়েছে। এমনকী বিরোধী দলের বিশিষ্ট নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের (Maryam Nawaz) হোটেলের ঘরে, মাঝরাতে দরজা ভেঙেও হানা দিয়েছে পাক পুলিশ। এবার, সাইবার অপরাধের শিকার হলেন ইমরানের সোচ্চার সমালোচক, পাকিস্তানের একজন মহিলা বিধায়ক। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে তাঁর একটি অশ্লীল ভিডিও। যার পিছনে তাঁর ইমরান-বিরোধিতার বড় ভূমিকা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পাক-পাঞ্জাবের তক্ষশিলা বিধানসভা কেন্দ্রের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন (PLM(N)) দলের বিধায়িকা সানিয়া আশিক (Sania Ashiq), সম্প্রতি সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বলে, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গত মাসেই ওই ভিডিওটি সম্পর্কে জানতে পারেন সানিয়া। গত ২৬ অক্টোবর, পাক ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এফআইএ-র কাছে সেই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু দিন ধরে একটি অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। দাবি করা হচ্ছে সেই ভিডিওতে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি, সানিয়া আশিক। তবে পাক বিধায়ক দৃঢ়ভাবে জানান, ভিডিওর মহিলা তিনি নন। সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি পুরো বিষয়টি খুলে বলেছিলেন। ইমরান খান সরকারের কাছেও এই বিষয় নিয়ে আলাদাভাবে অভিযোগ করেন বিরোধী দলের ওই বিধায়িকা।
আরও পড়ুন - দরজা ভেঙে নওয়াজ শরিফের মেয়ের শোওয়ার ঘরে হানা দিল ইমরানের পুলিশ, গ্রেফতার জামাই
আরও পড়ুন - মরিয়ম-কে 'ইঁদুর-ছত্রাক' খেতে বাধ্য করেছিলেন ইমরান খান, শৌচাগারে লাগানো ছিল ক্যামেরা
এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পাক-পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ এবং এফআইএ-র তদন্তের পর, পুলিশ সম্প্রতি এই মামলায় লাহোর (Lahore) থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, ওই ব্যক্তির সম্পর্কে কোনও তথ্যই প্রকাশ করা হয়নি। সেইসঙ্গে ভিডিওতে দেখা যাওয়া মহিলাটি কি সানিয়া, না অন্য কেউ? তাও নিশ্চিত করে জানায়নি তারা। পুলিশের পক্ষ থেকে শুধু বলা হয়েছে, এই মামলার বিষয়ে একটি নতুন এফআইআর নথিভুক্ত করে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে, পাক পুলিশের এই 'গোপনীয়তা' দেখে অনেকেই মনে করছেন, সানিয়াকে বদনাম করার জন্য পাকিস্তানের শাসক দলই এই কাজ করে থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়ে ফোন আসছে, বলে জানিয়েছেন সানিয়া। তিনি, নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। মরিয়ম এখন ইমরান খানের সবথেকে বড় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। মরিয়াম ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি, বিভিন্ন বিষয়েই ইমরান সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করেছেন সানিয়া। কাজেই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই এই কাজ করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।