বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শত শত গ্রাম- বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা

ভয়াবহ বন্যা পাকিস্তানে। বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসী হয়েছে। কয়েক লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে চাষের জমি। প্রবল জলের তোড়ে ভাঙনের প্রহর গুণছে নদীর তীর। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন মৌসুমী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

Saborni Mitra | Published : Aug 29, 2022 12:31 PM IST


ভয়াবহ বন্যা পাকিস্তানে। বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসী হয়েছে। কয়েক লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে চাষের জমি। প্রবল জলের তোড়ে ভাঙনের প্রহর গুণছে নদীর তীর। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন মৌসুমী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ এখনও পর্যন্ত বন্যার কারণে দেশের পাহাড়ী এলাকার গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কয়েক-শ পাহাড়ী গ্রাম এখনও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। 

প্রবল বর্ষার কারণে পাকিস্তানের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সেচ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। দেশের অধিকাংশ হ্রদই পরিপূর্ণ। বিপদসীমার ওপরে অনেগুলি বাঁধের জল। সেগুলি ভেঙে গিয়ে নতুন করে বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশের প্রশাসনিক কর্তারা। 

এই বছর বন্যায় ৩৩ মিলিয়নেরও বেশি মানু, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা পাকিস্তানের জনসংখ্যার অনুপাতে সাত জনের মধ্যে এক জন- এই হিসেব দিয়েছে সেদেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। গত এক দশকে এমন ভয়াবহ বন্যা পাকিস্তানের মানুষ আর দেখেনি । ২০১০ সালে পাকিস্তানে যে বন্যা হয়েছিল তার সঙ্গে এটির তুলনা করা যায়। সেই সময় ২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। দেশের প্রায় পাঁচ ভাগ ছিল জলের তলায়। 

সিন্ধু প্রদেশের একটি শহরে বাঁধের অবস্থা রীতিমত খারপ। অবিলম্বে সেটি মেরামতি করার প্রয়োজন। কিন্তু এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। বাঁধের কারণে ক্ষতি হয়েছে চাষের। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে প্রচুর জমি জলের তলায় চলে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে সিন্ধু নদ অববাহিকার অধিকাংশ এলাকাই জলমগ্ন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ত্রাণ বিলিতেও সমস্যা হচ্ছে। 

খাইবার পাখতুন একালা- যা পাকিস্তানের গুরুত্বপুর্ণ পর্যটন স্থান। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে। নদীর জলের তোড়ে বেশ কয়েকটি হোটেলেও ফাটল দেখা দিয়েছে। হোটেলগুলি ভেঙে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানে বিদেশী আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। 

আবহাওয়া অফিস বলেছে যে সারা দেশে স্বাভাবিক বর্ষা বৃষ্টিপাতের দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, কিন্তু বেলুচিস্তান এবং সিন্ধুতে গত তিন দশকের গড় বৃষ্টিপাত চার গুণেরও বেশি হয়েছে।

ট্রেনের ছাদে ওঠার আ-প্রাণ চেষ্টা, বাংলাদেশের মজার ভিডিওটি মন কেড়েছে এই দেশের মানুষেরও

'রাজনীতিতে আগ্রহ নেই রাহুল গান্ধীর', দল ছাড়ার পরেও আজাদের নিশানায় কংগ্রেস নেতা

বিমানের মত গ্রহাণু ধেয়ে আসছে, তবে কি ভোররাতেই ধ্বংস হবে পৃথিবী- জানুন নাসা কী বলছে

Share this article
click me!