গত কয়েকদিন ধরে কাশ্মীর নিয়ে ধীরে ধীরে সুর চড়াচ্ছিল পাকিস্তান। দেওয়া হয়েছে যুদ্ধের হুমকি। পরমাণু অস্ত্রের কথাও শোনা গিয়েছে ইমরানের মুখে। সেই সঙ্গে ভুয়ো ছবি-ভিডিওর মায়াজালে 'উদ্বেগজনক কাশ্মীর'-এর ছবি তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। কিন্তু, কিছুতেই কাজ দিচ্ছে না বুঝেই এইবার পুরোনো অবস্থান থেকে সরে এল পাকিস্তান।
ইমরান খান বলেছিলেন কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর ভারতের সঙ্গে আর আলোচনার রাস্তা খোলা নেই। কিন্তু শনিবার পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি দাবি করেছেন, তাঁরা আলোচনার বিষয়ে কখনও না বলেননি। কিন্তু ভারত সরকারই আর আলোচনার জায়গা রাখছে না । ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁরা রাজি বলেও তিনি কাশ্মীর বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
তবে আলোচনা শুরুর জন্য তিনি একি শর্তও দিয়েছেন। তাঁর দাবি, কাশঅমীরের রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিতে হবে। আলোচনার টেবিলে তিনি ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরকেও চান। আর তাদের আলোচনার টেবিলে আনার জন্যই তিনি কাশ্মীরি নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।
এর আগে ভারতের সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। সম্প্রতি ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এরসঙ্গে রয়েছে পরমাণু যুদ্ধ, অক্টোবর-ডিসেম্বরে যুদ্ধ শুরুর হুমকি। কিন্তু এত কিছু করার পরও ভারতকে বাগে আনতে পারেননি ইমরান। উল্টে বানিজ্য বন্ধ করে নিজেদেরই সমস্যা বেড়েছে। তার উপর শুক্রবার কাশ্মীর সংহতি ঘন্টা পালনে দেশবাসী একেবারেই সাড়া দেননি। উপরন্ত পাকিস্তানের আসল সমস্যাগুলি, কাশ্মীর নিয়ে হইচই করে গোপন করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী এমন অভিযোগ উঠেছে। ফলে বাইরে ও ঘরে চাপে পড়েই সম্ভবত পিছিয়ে আসল পাকিস্তান।