লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসছে ভারত চিন। দুই পক্ষই মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কূটনৈতিক বৈঠকের কথাই বললেও লাদাখে যুদ্ধ প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ল পাকিস্তান। শোনা যাচ্ছে, পশ্চিম লাদাখ সীমান্ত লাগোয়া পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে ইসলামাবাদ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গিলগিট বালতিস্তানে প্রায় ২০ হাজার বাড়িতে সেনা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। চিনের পাশে থাকার জন্যই এই সোনা মোতায়েন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: লাদাখে লাল ফৌজের মোকাবিলায় সেনার ভরসা 'ভীষ্ম', জানুন ভারতের অন্যতম এই অস্ত্রের বিশেষত্ব
পাকিস্তানে বিপুল আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে চিনের। এছাড়া ভারত বিরোধিত দুই দেশকেই কাছ নিয়ে এসেছে। লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই তাই পাকিস্তানের সঙ্গে বেজিংয়ের যোগসাজশ চলছে বলে খবর মিলছে। যা পরিস্থিতি তাতে মনে করা হচ্ছে, চিন-পাকিস্তান উভয়েই ভারতের সঙ্গে সামনাসামনি যুদ্ধের দিকেই এগোচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ভারতের ওপর উভয়মুখী যুদ্ধের ফ্রন্ট খুলে হামলা চালাতে বেশ কিছুদিন ধরেই চিন ও পাকিস্তান পরিকল্পনা করছে। একদিকে, লাদাখের পূর্বদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন সেনা মোতায়েন করেছে। অন্যদিকে কাশ্মীরের পশ্চিম প্রান্তে নিয়ন্ত্রণরেখায় বাহিনী পাঠিয়ে ভারতের ওপর চাপসৃষ্টির কৌশল নিয়েছে চিনের দোসর পাকিস্তান।
সামনা সামনি সংঘাতের পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতার ছকও কষছে পাকিস্তান ও চিন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে গোপনে কথাবার্তাও চলছে চিনের। এমনকি পাকিস্তানের কুখ্যাত বর্ডার অ্যাকশন টিম ‘ব্যাট’ বাহিনীকে দিয়ে ভারতে হামলা চালানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-বাদরের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে বেজিংয়ের।
গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। লক্ষ্য একটাই ভারতীয় বাহিনীকে ব্যস্ত রেখে সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ। আর এই জঙ্গিদের রুখতে লাগাতার অভিযনা চলছে উপত্যকায়। সাম্প্রতিককালে অন্তত ১২০ জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা, এরা বেশির ভাগই পাক জঙ্গি বলে জানা গিয়েছে।
ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালিয়ে এদেশের পরিস্থিতি টালমাটাল করে দেওয়ারই ছক কষছে এখন চিন ও পাকিস্তান। প্রতিবেশী এই দুই দেশের জোড়া কুচক্রের মোকাবিলা ঠিক কীভাবে করা যায়, সেই নিয়েই এখন দফায় দফায় বৈঠক চলছে ভারতীয় সেনা ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মধ্যে।