সৈয়দ গিলানির মৃত্যু, আরও একবার খুলে দিল পাকিস্তানের কপটতার মুখোশ

দীর্ঘ দিন অসুস্থ ছিলেন। বুধবার নিজের বাড়িতেই মারা যায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি গিলানি। তাঁর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির আসরে পাকিস্তান। 

 

Asianet News Bangla | Published : Sep 2, 2021 11:09 AM IST

জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুতে রীতিমত শোকস্তব্ধ পাকিস্তান। বুধবার রাতে ৯২ বছরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার মৃত্যু হয়। কাশ্মীরের এই নেতার মৃত্যুর পরই এদিন পাকিস্তান জাতীয় শোক দিবসের কথা ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানা সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন গিলানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধ নিমজ্জিত থাকবে। কিন্তু সম্পর্ণ অন্য ছবি দেখে গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মামুন হুসেনের মৃত্যুর সময়। চলতি বছর ১৪ জুলাই প্রায়ত হন। 

 কাশ্মীরের কট্টরপন্থী আর বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি গিলানির মৃত্যুতে শুধু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কাশ্মীরী নেতা গুণকীর্তন করেছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান কামার বাজওয়া। ইমরানের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। যদিও ইমরান খান বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতাকে কাশ্মীরের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাশ্মীরীদের অধিকার আর স্বাধীনতার জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। ভারত সরকার তাঁকে জেলে পুরেছিল বলেও মন্তব্য করেন ইমরান। পাশাপাশি তিনি ও তাঁর দেশ পাকিস্তান গিলানির ভারত বিরোধী সংগ্রামকেও সেলাম জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সরকারি শোক দিবস পালন করার কথা বলেছেন। 

যাইহোক সম্পূর্ণ অন্যছবি দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মামুন হুসেনের মৃত্যুর পর। নিজের দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে কোনও রকম শোক প্রকাশ করেননি ইমরান খানের সরকার। যদিও ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ কর্তা ছিলেন তিনি। বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে তিনি পাকিস্তানের মসদনে আসীন ছিলেন দীর্ঘ দিন। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতেন। হোলিতে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানের মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন। মামুন একজন মধ্যমপন্থী ভাবধারার নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ভারত বিরোধিতাকে দূরে সরিয়ে এক্যবদ্ধ পাকিস্তান তৈরিকে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর শেষকৃত্যে ইমরানের মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যকেই উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। কিন্তু গিলানির জন্য জাতীয় শোকের কথা ঘোষণা করেছেন ইমরান খান।

Post Poll Violence: হাইকোর্টের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার

প্রশান্ত কিশোরের ভাগ্য সনিয়া গান্ধীর হাতে, কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি

সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যু, 'রাক্ষুসে' কুপার হাসপাতালের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুললেন অনুগামীরা 

পাকিস্তানের এই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে সেদেশের মিডিয়াও তেমন প্রচারের আলোয় আনেনিষ মহম্মদ মজিদ শফি তাঁর প্রবন্ধে লিখেছেন, জুলাই মাসে মৃত্যু হয়েছিল মামুনের। এই মাসেই মারা গিয়েছিলেন অভিনেতা দিলীপ কুমার। দিলীপ কুমারের মৃত্যু পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে যতটা জায়গা পেয়েছেন তার সিকিভাগও পাননি মামুন।  দিলীপ কুমারের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরেই মামুনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের উন্নয়নের জন্য যেথেষ্ট ভূমিক ছিল মামুনের। 


বিশেষজ্ঞদের মতে সৈয়দ গিলানিকে নিয়ে বরাবরই পাকিস্তান বেশি আবেগপ্রবণ। গিলানি ইস্যুতে বরাবরই সরব। তার একটাই কারণ তিনি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সেই কারণেই বিশ্বের কাছে ভারতকে বিব্রত করার বিন্দুমাত্র সুযোগ ছাড়তে নারাজ ইমরান প্রশাসন। তাই নিজের দেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতিতে শোক না জানিয়েও এদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী কট্টরপন্থী নেতার মৃত্যুর পরেই শোক জানিয়েছেন ইমরান খান। 

। 

Share this article
click me!