তৃতীয় বিয়ে করতে গিয়ে নিজের প্রথম স্ত্রীর কাছে বেধড়ক মার খেলেন এক ব্যক্তি। এমন অবস্থা হল যে তাঁকে যেতে হস হাসপাতালে। এমন কাণ্ডই ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচির নর্থ নাজিমাবাদ এলাকায়।
জানা যাচ্ছে তৃতীয়বারের মত বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন করাচির শাখি হাসান চৌরঙ্গী এলাকার বাসিন্দা আসিফ রফিক। বিয়ের আসরেও বসেছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর প্রথম স্ত্রী মাদিহা হাজির হন বিয়ের আসরে। সঙ্গে ছিলেন মাদিহার আত্মীয়রাও। সকলে মিলে বরকে এমন প্যাঁদানি দেন যে শেষপর্যন্ত পুলিশ ডেকে উদ্ধার করতে হল আসিফকে।
আরও পড়ুন: কেজরির শপথে থাকবেন কেবল দিল্লিবাসী, মমতার উপস্থিতি নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা
মাহিলার দাবি ২০১৪ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় আসিফের। এরপরে তাঁর সম্মতি না নিয়েই ২০১৮ সালে জিন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মহিলা কর্মীকে বিয়ে করেন আসিফ। দ্বিতীয় বিয়েতে মাহিদা আপত্তি তোলায় তাঁর সঙ্গেই থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন আসিফ। কিন্তু তারপরেও আবার বিয়ে করতে যান এই যুবক। সেই খবর পেয়ে অতিথি-অভ্যাগতদের সামনে আসিফকে বেদম মারধর করেন মাহিদা ও তাঁর পরিজনরা। দুলহার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কেজরির ফের দিল্লি জয়ে বাড়ল সদস্য সংখ্যা, এক দিনে আপে যোগ ১০ লক্ষের
এদিকে বেধড়ক পিটুনি খাওয়ার পর বরবাবাজী মাহিদা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অনুমতি ছাড়া বিয়ের আসরে ঢুকে পড়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আসিফ জানান, মাহিদা তাঁর প্রথম স্ত্রী হলেও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে বিয়ে করতে তাঁর অনুমতির প্রয়োজন নেই।