সন্তানের সামনেই ধর্ষিত হতে হল মাকে। এমন নক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে। যাকে ঘিরে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইমরানের দেশ। গত বৃহস্পতিবার ভোরে লাহোর-শিয়ালকোট মোটরওয়েতে দুই সন্তানকে নিয়ে গুজরানওয়ালা যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। মাঝপথে গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার ফোন করে স্বামীকে জানান তিনি। সাহায্য়ের জন্য় অপেক্ষা করছিলেন মহিলা। কিন্তু স্বামী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছনোর আগেই একদল যুবক সেখানে এসে তাঁকে গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে সন্তানদের সামনেই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে ছেলের অন্তরঙ্গ মুহুর্তে ঘটল ক্যাচাল, হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশে দিল পুত্রবধূ
পালা করে ধর্ষণের পর সেখানেই থেমে থাকেনি অত্যাচার। এরপর মহিলার দামী গয়না, নগদ এবং ৩টি এটিএম কার্ড নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। এরমধ্যে ঘৃতাহুতি দিয়েছে লাহোরের পুলিশ প্রধান উমর শেখের মন্তব্য। কোনও পুরুষসঙ্গী ছাড়াই ওই মহিলা গভীর রাতে মোটরওয়েতে গাড়ি চালানোয় রীতিমতো তাঁকে তিরস্কার করেছেন পুলিশ প্রধান। আর তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন অনেকে।
এই ঘটনায় প্রবল চাপের মুখে পড়েছে প্রশসান। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে লাহোর থেকে থেকে গুজরানওয়ালা পর্যন্ত নবনির্মিত ওই হাইওয়েতে এতদিন যাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট পুলিশি প্রহারা ছিল না তী স্বীকার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। ওই হাইয়েতে পুলিশি নজরদারি বাড়ান হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবাক হয়ে গিলেন বিজ্ঞানীরা, পুরুষসঙ্গীর সঙ্গম ছাড়াই ডিম পাড়ল ৬২ বছরের বৃদ্ধা পাইথন
তবে লাহোরে সন্তানের সামনে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ প্রথমে ধর্ষণকারীদের পরিবর্তে ধর্ষিতাকে কাঠগড়ায় তোলায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। লাহোর, করাচি সহ দেশের বড়বড় শহরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তাই এখন ধর্ষণকারীদের ধরতে অভিনব এক প্রক্রিয়ার কথা বলছে পুলিশ। ধর্ষণকারীদের শনাক্ত করতে এবার ঘটনাস্থলের আশপাশের গ্রামের পুরুষদের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্জাব পুলিশ। শুক্রবার কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।