প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল, বেজিং-ইসলামাবাদ গোপন আঁতাত নিয়ে ফুঁসছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর

  • পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিনের থাবা
  • বাঁধ তৈরি ঘিরে বেজিংয়ের দাদাগিরি
  • প্রতিবাদে জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর
  • তুমুল বিক্ষোভ অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে

Asianet News Bangla | Published : Aug 25, 2020 4:13 AM IST / Updated: Aug 25 2020, 09:47 AM IST

পাকিস্তান ও চিনের সখ্যতা বিশ্ববাসীর কাছে আজ অজানা নয়। ইমরান খান জানিয়েছেন, 'পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ চিন', আর চিন, নেপাল ও আফগানিস্তানের উদ্দেশে বলেছে 'পাকিস্তানের মতো হও'। বিনিয়োগের নামে ধীরে ধীরে পাকিস্তানে আধিপত্য বিস্তার করছে বেজিং। আর পাকিস্তানের বুকে চিনকে ঢোকানোর রাস্তা পরিষ্কার করছেন  ইমরান নিজেই। তাই করোনা আবহে যখন প্রতিটি দেশে একে অপরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করছে সেখানে চিন সফর করেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন: এর গোপন শক্তিকে ভয় পান জিনপিং ও ইমরানও, ভারতীয় সেনার সবথেকে ভয়ঙ্কর অস্ত্র 'কালি'র বিশেষত্ব জানেন

এদিকে, ইমরান যখন চিনের সখ্যতায় মত্ত তখন, পাকিস্তানের বুকে ধীরে ধীরে থাবা কষাতে শুরু করেছে চিন। সিপিইসি বা চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের হাত ধরে এশিয়ার বৃহত্তর সীমান্ত পার রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের চিন ও পাকিস্তান রয়েছে। পাকিস্তান দেশের সর্বকালীন বেশি পরিমাণ অর্থ এতে বিনিয়োগ করেছে। ৬.৮ বিলিয়নের এই প্রজেক্ট ইমরানের কাছে বড় স্বপ্ন।

চিনের নজর কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট বালতিস্তান এলকা পর্যন্ত এই সিপিইসির আওতায় রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প রয়েছে চিনের। এবার  সিপিইসির হাত ধরে এবার বিতর্কিত জায়গাতেও থাবা বসানোর দিকে নজর রেখেছে চিন। পাকিস্তান নিজেই এই রাস্তা ধিরে ধিরে খুঁড়েছে। দাবি ওয়াকিবহালমহলের।

কিন্তু চিনের দাদাগিরি মেনে নিতে নারাজ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ। নীলম-ঝিলম নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করছে চিন। মুজফ্ফরাবাদের বাসিন্দাদের অভিযোগ এই বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে পানীয় জলও পাওয়া যাবে না।  চিনের জোর করে বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাই প্রতিবাদে নেমেছেন মুজফ্ফরাবাদের মানুষ । 

 

 

অভিযোগ একসময়ের গর্জনশীল খরস্রোতা নীলম নদী এখন একটা খালের মতো তিরতির করে বইছে। এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না। চিনকে বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করতেই হবে। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতার মূল্য চোকাচ্ছে বেজিং, চিনের সঙ্গে সৌদি বাতিল করল ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি

স্থানীয়দের দাবি বাঁধ নির্মাণ হলে মিলবে না চাষাবাদের জন্য জল। আখেরে চরম সমস্যায় পড়বে গোটা পাক অধিকৃত কাশ্মীর। এই বাঁধনির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও দুটি প্রজেক্ট। এরমধ্যে একটি কোহালা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও অপরটি  হল নীলম ঝিলম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। দীর্ঘদিন ধরেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা এই প্রকল্পগুলির বিরদ্ধে সরব।

Share this article
click me!