সংক্ষিপ্ত
- পুরুষসঙ্গীর সংস্পর্শে না এসেই ডিম দিল পাইথন
- ১৫ বছরেরও বেশি সময় পুরুষসঙ্গীর সংস্পর্শে আসেনি
- তারপরেও ৭টি ডিম পাড়ল স্ত্রী পাইথন
- ৬২ বছর বয়সে ডিমগুলি পাড়ল পাইথনটি
পৃথিবীতে কত অবাক করা কাণ্ডই না ঘটে। তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল আমেরিকার মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস চিড়িয়াখানা। সঙ্গম ছাড়াই সেখানে ডিম পাড়ল পাইথন। যার বয়স আবার ষাটের কোটায়।
সেন্ট লুইস চিড়িয়াখানার হারপিটোলজি বিভাগের ম্যানেজার মার্ক ওয়ানের জানান, ওই স্ত্রী পাইথনটি ১৫ বছরেরও বেশি সময় কোনও পুরুষসঙ্গীর সংস্পর্শে আসেনি। তা সত্ত্বেও ৬২ বছরের বৃদ্ধা পাইথন কী করে ৭টি ডিম দিল তা এখন ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। জানা যাচ্ছে সেন্ট লুইস চিড়িয়াখানা বাসিন্দা ওই স্ত্রী পাইথনটি সেখানকার সর্পকুলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবীণা। বহু মা বল পাইথন গোষ্ঠীর।
বল পাইথন সাধারণত ষাট বছরের আগেই সন্তান ধারণের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়। তাই এত বৃদ্ধ বয়সে পাইথনের ডিম পাড়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। চিড়িয়াখানার হারপিটোলজি বিভাগের ম্যানেজার মার্ক জানাচ্ছেন, এই পাইথনটি সম্ভবত ইতিহাসে সবচেয়ে বৃদ্ধা সাপ যে এই বয়সে ডিম পাড়ার রেকর্ড গড়েছে।
কিন্তু প্রায় দু'দশক পুরুষ সঙ্গীর সংস্পর্শে না এসেও কীভাবে ডিম পাড়ল ওই বৃদ্ধা পাইথন। বিজ্ঞানীরা বলছেন অ্যাসেক্সুয়াল ফার্টিলাইজেশন মাধ্যমেই এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। বল পাইথন এই প্রক্রিয়ায় মিলিত না হয়েও সন্তানের জন্ম দিতে পারে। এক্ষেত্রে স্ত্রী সাপ নিজের দেহে স্পার্ম সঞ্চয় করে রাখে। বৃদ্ধা পাইথনটিও তেমনি করেছে। সঞ্চিত শুক্রানুর সাহায্যেই ডিমগুলি নিষিক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বড়দার কাছে জোর ঝটকা খেলেন ইমরান, শেষ মুহূর্তে পাকিস্তান সফর বাতিল করলেন অখুশি জিনপিং
গত ২৩ জুলাই ৭টি ডিম পাড়ে পাইথনটি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ৩টি ডিম ইনক্যুবেটরে রেখেছে। দু’টি ডিম জেনেটিক স্যাম্পলিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে । বাকি দু’টি ডিম অবশ্য বাঁচেনি । সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জেনেটিক স্যেম্পলিংয়ের মাধ্যমে দেখা হবে, আদৌ এই ডিমগুলি সেক্সুয়ালি নিষিক্ত হয়েছে, নাকি অ্যাসেক্সুয়ালি। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ফ্যাকালটেটিভ পার্থেনোজেনেসিস। এক মাসের মধ্যে এই ডিমগুলি থেকে বাচ্চা বের হবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখন সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।
ওই চিড়িয়াখানায় আরও একটি পুরুষ বল পাইথন রয়েছে । তার বয়স ৩১ বছর । যদিও সেই পাইথনটিকে সকলের সামনে আনা হয়না। এদিকে এক ব্যক্তি ১৯৬১ সালে এই স্ত্রী পাইথনটিকে চিড়িয়াখানায় উপহার দেন। এরআগে ২০০৯ সালে আরও একবার ডিম পেড়েছিল পাইথনটি। তবে সেবার সেগুলি বাঁচেনি। এরআগে ১৯৯০ সালেও একবার ডিম পাড়ে পাইথনটি। সেবার অবশ্য পুরুষ পাইথনের সংস্পর্শে এসেছিল সে।