মা-নন বাবা যদি দেখেন তাঁর তরুণী মেয়ে হস্তমৈথুন করছে তাহলে? অবশ্যই অধিকাংশ বাবা-রই রক্তচাপ জনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ পরিস্থিতি তিনি কীভাবে মোকাবিলা করবেন তা ভেবে উঠতে পারেন না। অনেক বাবা-ই আবার মানসিক বিকারে আক্রান্ত হন। এখানে এমন একজন বাবার চিঠি আমাদের নিউজ নেটওয়ার্কে এসেছে যা দেখে সত্যি অবাক হতে হয়েছে। যদিও, এখানে বাবা তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরাও তাঁকে সহানুভূতি সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করে কিছু পরামর্শ দিয়েছি।
বাবা (চিঠি প্রেরক)- আমার মেয়ের বয়স ২২ বছর। সে এখন এমএ কমপ্লিট করছে। আমি এবং আমার স্ত্রী নিচের ঘরে থাকি। আমাদের ঘরের ঠিক উপরে একতলাতে আমাদের মেয়ের ঘর। একদিন একটা কাজের জন্য মেয়ের ঘরে যেতে হয়েছিল। মেয়ে জানত না যে আমি তার ঘরে যাচ্ছি। একটা দরকারি জিনিস খুঁজতে খুঁজতে ওর ঘরের দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। জিনিসটা মেয়ের ঘরে আছে কি না তা জানতেই ঘরে ঢুকেছিলাম। দরজাটা আলতো করে ভেজানো ছিল। ফলে ঘরে সহজেই ঢুকে গিয়েছিলাম। আমি জানি মেয়ে ঘরে আছে এবং হয় নোটস লিখছে বা পড়াশোনা করছে। কারণ, রাতে-র এই সময়টাতে মেয়ের পড়াশোনার অভ্যাস রয়েছে। মোটামুটি রাত জেগেই পড়াশোনা করে এবং ভোররাতে শুতে যায়। দেখি আমার মেয়ে-র হাত দুটো হ্যান্ডকাফড দিয়ে বাঁধা। এবং শরীর খুব দ্রুত নড়ছে। মুখ দিয়ে গোঙানির আওয়াজ বের হচ্ছে। একটি চেয়ারের উপরে বসেছিল। আমি ওর পিছনে ছিলাম। পরিস্থিতি অনুধাবন করতে অসুবিধা হয়নি। আমি কোনওমতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। কিন্তু, নিচে এসে শান্তিমতো বসতে পারিনি। সারাক্ষণ একটা আত্মশ্লাঘায় আঘাত অনুভব করছিলাম। কীভাবে মেয়ের কীর্তি তাঁর মা-কে জানাবো বুঝতে পারছিলাম না। কারণ, মেয়ের উপরে আমার স্ত্রী-র অগাধ আস্থা। কীভাবে আমি সন্তানদের এই সব বিষয়ে শিক্ষিত করতে পারি তা বুঝতে পারছিলাম না। তাই আপনাদের সাহায্য চাইছি।
উত্তর- উঠতি বয়সের সন্তানের এমন অভ্যাস খুব একটা অস্বাভাবিক আচরণ নয়। আপনার মেয়ে বলছেন ২২ বছরের। তারমানে সে যথেষ্টই মানসিকভাবে পরিপক্ক এবং উচ্চশিক্ষায় যখন শিক্ষিত হচ্ছে, তাতে মনে হয় হস্তমৈথুনের মতো বিষয়ে সে খুব একটা অপরিচিত নয়। আপনি বাবা বলে হয়তো আপনার কাছে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের পরিপক্কতাকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। আপনার মেয়ে যে বয়সে তাতে এই সময়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণের প্রক্রিয়া চলতে পারে। হাইপোথ্যালামাসও এই সময়ে প্রবল শক্তিশালী এবং সক্রিয় হয়। তাই ঘাবড়ে না গিয়ে মেয়ের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার গভীরতা বাড়ান। এই বয়সে হরমোনের ক্রিয়া-কে কীভাবে সামলাতে হবে সে বিষয়ে জ্ঞান দিন। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কৌশলটা শেখান। এতে মা-এর হেল্প সবচেয়ে বেশি নিন। কারণ একজন মহিলা হিসাবে তিনি অন্য মহিলাকে বোঝাতে বেশি কার্যকর ভূমিকা নেবেন। মেয়েরা সবসময়ে বাবা-র খুব কাছে হয়, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বয়ঃসন্ধি-র নানা বিষয় বাবা এবং মেয়ের মধ্যে আসলোচনা হয় না। মেয়েও কুন্ঠাবোধ করে। আবার বাবা-রাও এটাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এটা ঠিক নয়। বহু রক্ষণশীল পরিবারে তো বয়ঃসন্ধি-র বিষয়, যৌনতা, সম্ভোগ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করাতেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে মেয়ের সঙ্গে মিশুন। দেখবেন সমস্যা অনেক কমে গিয়েছে।
দিনে একবার করে হস্তমৈথুন কি নিরাপদ?
প্রশ্ন- আমি একজন ২৮ বছরের ছেলে। দিনে দুবার করে হস্তমৈথুন করি। এতে কি আমার বিবাহিত জীবনে সমস্যা তৈরি হতে পারে? সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কি কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে? অনেক সময়ই এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি আতঙ্কে থাকি।
উত্তর- হস্তমৈথুন কীভাবে করা উচিত এবং দিনে কতবার করা উচিত- এমন কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। হস্তমৈথুন এই কারণে করা হয় যাতে অবদমিত যৌনতার প্রকাশ ঘটে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে একজন ফিট থাকতে পারে। যদিও, অত্যাধিত হস্তমৈথুনে শরীরে কোনও প্রভাব পড়ছে কি না সে সম্পর্কে চেতনা দরকার। আতঙ্ক, ভুলবোঝাবুঝি এগুলি শরীরের পক্ষে ভালো নয়। যৌনতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে খোলামেলাভাবে তা জানার চেষ্টা করুন।