অফিসের অশান্তির জন্য মেজাজ বিগরে থাকা স্বাভাবিক। আর এর খারাপ প্রভাব পড়ে পরিবারের ওপর। অফিসের রাগ অনেকে এসে বাড়ির লোকের ওপর দেখায়। এর জন্য ধীরে ধীরে তিক্ত হতে শুরু করে সম্পর্ক। যার চরম পরিণতি বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce)। তাই বিয়ে বাঁচাতে চাইলে নিজের খারাপ স্বভাব বদল করুন।
সারাদিন কাটে ব্যস্ততার মধ্যে। সারাক্ষণ অফিসের কাজ, বসের টার্গেট, পরিশ্রম। প্রতিটি দিন অফিসে সমান যায় না। কোনও কোনও দিন বসের সঙ্গে সমস্যা, সহকর্মীর সঙ্গে অশান্তি কিংবা টার্গেট (Target) মিট করতে না পারার চিন্তা। এই সবের জন্য মেজাজ বিগরে থাকা স্বাভাবিক। আর এর খারাপ প্রভাব পড়ে পরিবারের ওপর। অফিসের রাগ অনেকে এসে বাড়ির লোকের ওপর দেখায়। এর জন্য ধীরে ধীরে তিক্ত হতে শুরু করে সম্পর্ক। যার চরম পরিণতি বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce)। তাই বিয়ে বাঁচাতে চাইলে নিজের খারাপ স্বভাব বদল করুন।
স্পেস (Space) দিন দুজনকে। সারাদিন কী করল, কোথায় গেল, কেন গেল এমন প্রশ্ন করবেন না। দুজনেই ব্যক্তিগত জায়াগায় একটা সীমারেখা মেনে চলুন। এতে অন্যের জীবনে বেশি মাথা গলালে, তার থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ব্যক্তিগত জীবনের সীমারেখা মেনে চলুন। না জেনে অন্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে কুমন্তব্য করবেন না। সব সময় এই কথা মাথায় রেখে চলুন।
সমস্যা আলোচনা করুন। আপনার অফিসে দিন খারাপ কাটতেই পারে, কিংবা কোনও বিষয়ে আপনি সমস্যায় পড়তেই পারেন। সেটা স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করুন। তাকে আপনার সমস্যার কথা জানান। আলোচনার (Discuss) মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হবে। আপনার সমস্যা আপনি না বললে, সে বুঝবে না। এর থেকে দুজনে মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি তৈরি হবে। যার খারাপ প্রভাব পড়বে সম্পর্কে। তাই ভুল বোঝাবুঝি তৈরির আগে সতর্ক হন।
যৌনতা নিয়ে চর্চা করুন। দাম্পত্য জীবেন যৌনতা একটা গুরুত্ব অংশ। যৌন জীবনে অসুখি হলে তার খারাপ প্রভাব সম্পর্কে পড়ে। তাই যৌন জীবনকেও (Sex Life) গুরুত্ব দিন। দেখবেন এতে একে অন্যকে আরও ভালো করে বুঝবেন। মনোমালিন্য দূর হবে।
আরও পড়ুন: নানান অজুহাতে বারে বারে ফোন করছে EX, জেনে নিন কী কী কারণে আসতে পারে ফোন
প্রয়োজনে ব্রেক নিন। কাজের চাপ অধিক হয়ে গেলে ব্রেক (Break) নেওয়ার দরকার। একঘেঁয়ের জীবনের জন্য বাড়ে মানসিক চাপ (Stress)। তার জন্য কাজের প্রোডাক্টিভিটি (Productivity) কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এর থেকে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই সুযোগ পেলে ঘুরে আসুন। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, মাইন্ড ফ্রেশ (Mind Fresh) রাখুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন। যত মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন তত শারীরিক ভাবেও সুস্থ থাকবেন। সঙ্গে সব সম্পর্ক ভালো থাকবে। তাই মেনে চলুন এই টিপস। এতে সম্পর্ক সুস্থ থাকবে।