বিবাহিত মহিলার শালীনতা বজায় রাখা জরুরি। তাঁকে প্রেম পত্র ছুঁড়ে দেওয়া ঠিক নয় বলে জানিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।
বিবাহিত মহিলাকে প্রম পত্র ছুঁড়ে দেওয়া একদমই ঠিক নয়। এতে বিবাহিত মহিলাকে অস্মানিত করা হয়। প্রেম পত্র ছুঁড়ে দিলে নারীর শালীনতায় আঘাত করা হয়। ২০১১ সালে দায়ের হওয়া একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছে বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বোম্বে হাইকোর্ট বলেছেন বিনয় একজন মহিলার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তার অনেকটাই দামি রত্নের মত। মহিলা রাগিয়ে দিয়ে তাঁর মন পাওয়া কোনও স্ট্রেটজ্যাকেট ফর্মুলা হতে পারে না।
উদ্বোধনের আগেই বিপত্তি, পাইপ ফেটে খাবার জল ভেসে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে
ঘটনার সূত্রপাত ২০১১ সালে। সেই সময় মুম্বইয়ের এক দোকানবার আর স্থানীয় এক বিবাহিত মহিলার মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করেই তা শুরু হয়। পরবর্তীকালে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মহিলা জানিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ তিওয়ারি নামে এক এক স্থানীয় দোকানদার তাঁর কাছে একদিন এসেছিলেন। তিনি তখন বাসন মাজতে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় মহিলাকে দোকানদার একটি চিঠি দিতে চায়। কিন্তু মহিলা তা নিতে অস্বাকীর করে। তাতেই দোকানদার রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। দুজনেই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। সেই সময়ই দোকানদার চিঠিটি মহিলার দিকে ছুঁড়ে দেয়। আর তাঁরই সামনে চিৎকার করে বলে 'আমি তোমাকে ভালোবাসি।' তবে পরের দিন ওই দোকানদার মহিলাকে দেখে কিছু অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি প্রেম পত্রের কথা কাউকে না জানাতেও হুমকি দিয়েছিল।
Climate Change Report: জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ ভারতের সামনে, ১২টি এলাকা তলিয়ে যাবে সমুদ্রগর্ভে
পরে মহিলা দোকানদারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪,৫০৬,৫০৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। ২০১৮ সালে দায়রা আদালতে দোকানদারকে দোষী সাব্যস্ত করে আর ২ বছরের সশ্রমকারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের জরিমানাও আরোপ করে তা মহিলাকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করেই দোকানদার বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। পাশাপাশি দোকানদারের অভিযোগ ছিল মহিলা তাঁর দোকান থেকে বিনামূল্য প্রচুর রেশন নিয়েছিল। টাকা দেবে বলেও দেয়নি।
Shocking: স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের 'কাঁটা' তুলতে জোড়া খুন, দুধের শিশুকেও রেহাই দিল না মা
রায় দিতে গিয়ে বোম্বে আদালত বলেছে,ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সাজার তুলনায় বিশে জেল খেটেছেন দোকানদার। পাশাপাশি মহিলার শ্লীলতা বজায় রাখার কথাও বলেছেন বিচারপতি।