সংক্ষিপ্ত
জলবায়ু পরিবর্তন আর বিশ্ব উষ্ণায়নের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতে। তলিয়ে যেতে পারে উপকূলবর্তী শহরগুলি।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়র যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে এই ভাবে চলতে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াল বেড়ে যাবে। আর তাই বিশ্বের ওই উষ্ণয়নই বড় বিপদ ডেকে আনবে। সেই বিপদের হাত থেকে বিশ্বের কোনও দেশই রেহাই পাবে না। তবে ভারতের গ্লোবাল ওয়ার্মিংএর বিপদ যে আরও মারাত্মক তা অবশ্যই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারত মারাত্মক বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে তাতেই ভারতের ১২টি উপকূলবর্তী শহর তলিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
মুম্বই আর চেন্নাইয়ের মত ভারতের দুটি মেট্রো সিটির সঙ্গে কোচি আর বিশাখাপত্তনম চলতি শতাব্দীর শেষে তলিয়ে যেতে পারে। এই শহরগুলি তিন ফুট জলের তলায় চলে যেতে পারে বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন মাহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মূল্যায়ন রিপোর্টে ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসাই ভারতের ১২টি শহরকে চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে বলেছে এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাবে। তাতে বিপদের মধ্যে পড়বে ভারতের এক ডজন শহর।
Climate Change Report: ভারতের সামনে ঘূর্ণিঝড় আর বন্যার বড় বিপদ, হিন্দুকুশের হিমবাহ গলছে
জলবায়ু পরিবর্তন 'মানব সভ্যতার কাছে লাল সতর্কতা', রিপোর্ট প্রকাশ করে উদ্বেগ রাষ্ট্রসংঘের
কী এমন হয়েছিল বিয়ের আসরে, যা দেখে রীতি ভুলে আঁতকে উঠলেন নবদম্পতি
ভারতের উপকূলবর্তী শহরগুলি নিরাপদ নয়, কারণ হিসেবে রিপোর্টে বলা হয়েছে এশিয়ার চারপাশে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলের স্তর দ্রুতহারে বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বাকি মহাসাগরগুলির তুলনায় ভারত মহাসাগরের জলের স্তর দ্রুত বাড়ছে। পাশাপাশি এই মহাসাগর দ্রুতহারে উষ্ণ হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের চরম পরিবর্তন গত ১০০ বছরে দেখা যায়নি। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি ৬-৯ বছরে একবার করে উষ্ণতা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। কারণ রিপোর্টে বলা হয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘন ঘন বন্যা হবে। যার প্রভাব পড়বে উপকূলীয় এলাকায় ভূমিক্ষয়ে। তার সঙ্গে পাল্লা দেবে সমুদ্রে জলস্তরের বৃদ্ধি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে একাধিক হিমবাহ গলে যাচ্ছে বলেও রিপোর্ট আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর গড়ে ৭.৭ মিলিমিটার হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি হিন্দুকুশ হামালয়ে একাধিক হিমবাহ গলে যাচ্ছে। ১৯৭০ সালের তুলনায় হিমবাহগুলি অনেকাই পাতলা হয়েগেছে। এখন থেকে সচেতন হলে উপকূলবর্তী শহরগুলিকে রক্ষা করা যাবে। কিন্তু এই পরিস্থিতি অব্যাবত থাকলে ভারতের ১২টি শহর অচিরেই তলিয়ে যাবে সমুদ্রগর্ভে। প্রাথমিক রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে কান্দালা, ওখা, ভোনগর, মুম্বই,মরমুগাও, ম্যাঙ্গালোর, কোচিন, পারাদ্বীপ, খিদিরপুর বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, তুতিকোরিন তলিয়ে যেতে পারে।