
বয়স যে কেবল সংখ্যা মাত্র। এই কথা এর আগেও একাধিকবার প্রমাণ করেছেন অনেকেই। কিন্তু বয়স ৯৪ বছর বয়সে পৌছে তা প্রমাণ করার কথা অনেকে ভাবার কথা ভাবতেও পারেনা । তাও আবার অ্যাথলেটিক্সে। ইচ্ছে, জেদ, আগ্রহ, হার না মানা মনোভাব, কোনও কিছুর প্রতি ভালোলাগা-ভালোবাসা এই বিষয়গুলি থাকলে যে কোন বাধা অতিক্রম করে যায়, বা কোনও কিছু অর্জন করাটা যে কোনও বয়সে সম্ভব তা আরও একবার প্রমাণ করলেন হরিয়ানার বাসিন্দা ভগবানী দেবী ডাগর। তাও আবার অ্যাথলেটিক্সে বিশ্ব মঞ্চে জিতলেন একটি সোনা সহ দুটি ব্রোঞ্জ। এমন কৃতিত্ব অর্জন করে বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন ভারতের ৯৪ বছরের যুবতী। শুভচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন ভগবানী দেবী ডাগর।
বয়সের শতক থেকে মাত্র ছ ধাপ দূরে। এমন বয়সে এসে অ্যাথলিটিক্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তো দূরের কথা, অনেকে চলেফেরা পর্যন্ত করতে পারেন না। কিন্তু খেলাধুলা অন্ত প্রাণ ভবানী দেবী অংশ নিয়েছিলেন ফিনল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্ব মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-এ। সেখানেই এমন অসাধ্য সাধন করেছেন তিনি। বিশ্ব মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা এবং দুটি ব্রোঞ্জ জিতে বিশ্বের দরবার দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন তিনি। ১০০ মিটার স্প্রিন্ট ইভেন্ট ভবানী দেবী শেষ করেছেন মাত্র ২৪.৭৪ সেকেন্ডে। এই ইভেন্টেই প্রথম হয়ে সোনা জিতেছেন তিনি। এছাড়া শটপাট সহ আরও একটি ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন তিনি। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে ভগবানী দেবীর ছবি পোস্ট করেছে। ক্যাপশনে মন্ত্রক লিখেছেন,‘ভারতের ৯৪ বছর বয়সী ভগবানী দেবী আবারও বলেছেন যে বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। তিনি স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। সত্যিই একটি সাহসী কাজ।’
এমন কাজ করার পর থেকেই নেট দুনিয়া থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রীড়া মহলে বছর ৯৪-এর ভবানী দেবী ডাগরকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কীভাবে তিনি এই বয়সে এই কাজ করে দেখালেন তা জানতে উৎসুখ সকলেই। খুশি ভবানী দেবী নিজেও। তবে এখানে থেমে থাকতে নারাজ তিনি। বয়সের শতক থেকে ৬ বছর দূরে হলেও এখো জীবনে আরও কিছু করে দেখাতে চান ভবানী দেবী। তার এই স্পিরিট সকলকে অবাক করেছে। একইসঙ্গে ভবানী দেবী ডাগরের এমনই যাতে সুস্থ ও সবল থাকেন সেই শুভ কামনা করছেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতেও তিনি যেন দেশকে এমন সাফল্য এনে দিতে পারেন সেই শুভেচ্ছাও জানিয়েছে দেশবাসী।