টান টান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হল আবু ধাবি গ্র্যান্ড প্রিক্স। একেবারে শেষ ল্যাপে শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী লুইস হ্যামিল্টনকে পরাজিত করে, তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ফর্মুলা ওয়ান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেন ম্যাক্স ভার্স্তাপেন। মার্সিডিজকে হারিয়ে দেয় রেড বুল। মার্সিডিজ দল অবশ্য এই প্রতিযোগিতার ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। দুই দলই এখন স্টুয়ার্ডদের কাছে রিপোর্ট করবে বলে জানা গিয়েছে। এই রেসের আগে দুই প্রতিযোগিরই পয়েন্ট সমান ছিল। তবে মরসুমের একেবারে শেষ ল্যাপে ভার্স্তাপেন তার শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী লুইস হ্যামিল্টনকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে ইয়াস মেরিনাতে রেড বুল দলের জয়ে, স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ হারায় মার্সিডিজ দল।
টান টান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হল আবু ধাবি গ্র্যান্ড প্রিক্স (Abu Dhabi Grand Prix)। একেবারে শেষ ল্যাপে শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী লুইস হ্যামিল্টনকে (Lewis Hamilton) পরাজিত করে, তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ফর্মুলা ওয়ান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ (F1 World Championship) জিতলেন ম্যাক্স ভার্স্তাপেন (Max Verstappen)। মার্সিডিজকে (Mercedes) হারিয়ে দেয় রেড বুল (Red Bull)। মার্সিডিজ দল অবশ্য এই প্রতিযোগিতার ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। দুই দলই এখন স্টুয়ার্ডদের কাছে রিপোর্ট করবে বলে জানা গিয়েছে। এই রেসের আগে দুই প্রতিযোগিরই পয়েন্ট সমান ছিল। তবে মরসুমের একেবারে শেষ ল্যাপে ভার্স্তাপেন তার শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী লুইস হ্যামিল্টনকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে ইয়াস মেরিনাতে (Yas Marina) রেড বুল দলের জয়ে, স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ হারায় মার্সিডিজ দল। ভার্স্তাপেন তাঁর প্রথম এফওয়ান শিরোপা জিতলেন রমুলা ওয়ানে তাঁর সপ্তম মরসুমে এসে। যদিও তাঁর বয়স এখন মাত্র ২৪ বছর। তিনিই প্রথম ডাচ যিনি এফওয়ান (F1) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেন। ২০১৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফর্মুলা ওয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। এই খেলার ইতিহাসে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ ড্রাইভারের রেকর্ডের অধিকারী। ফলে, তাঁর সামনে এখন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পড়ে আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তিনি এখন আগের থেকে অনেক পরিপক্ক ও সম্পূর্ণ ড্রাইভার। তারুণ্যের উত্তেজনার বাড়াবাড়ি অনেকাংশেই কমেছে। বিচার বিবেচনায় সতর্কতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। তবে এখনও সার্কিটে তিনি একজন আক্রমণাত্মক ড্রাইভার হিসেবেই পরিচিত। সাফল্যের পথে তিনি যে কতটা আপোষহীন হতে পারেন, তার পরিচয় হ্যামিল্টন এই মরসুমে পেয়েছেন। চলতি বছরে তিনি মোট ১০ টি জয় পেয়েছেন। আর সেই জয়ের পথে নিরলসভাবে আত্মবিশ্বাসী এবং নিয়ন্ত্রিত ড্রাইভিং করে গিয়েছেন। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াইয়ে অংশ নিয়ে তিনি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। সাতবারের চ্যাম্পিয়ন হ্যামিল্টনের বিপক্ষে তিনি নতি স্বীকার করেননি। বরং তাঁর নিজের ক্ষমতার বিষয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী থেকে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য রেখেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে তাঁর প্রচন্ড খিদের জোরেই তিনি অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, নিজের নামের পাশে যোগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই জয়ই ভার্স্তাপেনের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় জয়। হ্যামিল্টন তাঁর দিকে অসাধারণ প্রতিযোগিতা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। কঠিন লড়াই লড়তে হয়েছে ভার্স্তাপেনকে। তলতি বছরে অবশ্য তাঁর পারফরম্যান্স সবসময় শীর্ষস্তরের ছিল, তা বলা যাবে না। ব্রিটেন এবং হাঙ্গেরির দুটি রেসের মাঝে তিনি ৩২ পয়েন্টের লিড হারিয়েছিলেন। কিন্তু, নিরলস সংকল্পের সঙ্গে লড়াই করে ফের জয়ের সরণীতে ফিরে আসেন। হ্যামিলটন এবং ভার্স্তাপেনের মধ্যে শুরুতে সম্পর্কটা ছিল, পারস্পরিক শ্রদ্ধার। কিন্তু, প্রতিযোগিতার তীব্রতা যত বেড়েছে, মার্সিডিজ এবং রেড বুল দলের দলগুলির অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বন্যা বইতে শুরু করেছে। আবু ধাবিতে এই বছরের রেস শেষও হল সেই মেজাজেই।