Ashes 2025: মাত্র দুদিনেই শেষ অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট। কয়েকদিন আগে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে প্রথম টেস্টের পিচ নিয়ে কথা হচ্ছিল (australia vs england 1st test)। কেন ইডেনে এত লো-স্কোরিং পিচ? কেন ব্যাটাররা রান পাচ্ছেন না? আর এবার? খোদ অ্যাশেজের মতো ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষ হয়ে গেল মাত্র দুদিনের মধ্যে। চারটি ইনিংসও খেলা হয়ে গেল। ভাবা যায় (australia vs england ashes)?
অস্ট্রেলিয়া জয়ী ৮ উইকেটে। ম্যাচের সেরা মিচেল স্টার্ক। ২১ নভেম্বর, অর্থাৎ শুক্রবার থেকে পার্থে শুরু হয় অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে প্রথম টেস্ট। সেই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশরা। কিন্তু শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে যায় ইংল্যান্ড ব্যাটিং।
ওপেনার জ্যাক ক্রলে খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার বেন ডকেট করেন মাত্র ২১ রান। মিডল অর্ডারে নেমে অলি পোপ কিছুটা লড়াই করেন। তাঁর সংগ্রহে ৪৬ রান। তবে জো রুটের ভাঁড়ার শূন্য।
অন্যদিকে, হ্যারি ব্রুক বেশ ভালো খেলেন। প্রথম ইনিংসে তাঁর ঝুলিতে ৫২ রান, অধিনায়ক বেন স্টোকসের সংগ্রহে মাত্র ৬ রান, উইকেটকিপার-ব্যাটার জেমি স্মিথ করেন ৩৩ রান এবং গাস অ্যাটকিনসন ১ রান করে আউট হন। এছাড়া ব্রাইডন কার্স ৬ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে।
জোফ্রা আর্চার এবং মার্ক উড কোনও রান পাননি। শেষপর্যন্ত, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৭২ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। কার্যত, একাই শেষ করে দেন ইংল্যান্ডকে। ২টি উইকেট পেয়েছেন ব্রেন্ডন ডগেট এবং ১টি উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে, বিপাকে পড়ে অজিরাও। দলের ওপেনার জেক ওয়েদারল্ড ফিরে যান খালি হাতে। মার্নাস ল্যাবুশাং করেন ৯ রান, অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের সংগ্রহে ১৭ রান, উসমান খাওয়াজার ঝুলিতে ২ রান এবং ট্র্যাভিস হেড স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ২১ রান।
এছাড়া ক্যামেরন গ্রিন করেন ২৪ রান, অ্যালেক্স ক্যারের ঝুলিতে ২৬ রান এবং মিচেল স্টার্কের সংগ্রহে ১২ রান। এছাড়া নাথান লিয়ন করেন ৪ রান, স্কট বোল্যান্ড কোনও রান পাননি এবং ব্রেন্ডন ডগেট ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৩২ রানে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৫ উইকেট নেন বেন স্টোকস, ৩ উইকেট পেয়েছেন ব্রাইডন কার্স এবং ২টি উইকেট জোফ্রা আর্চারের ঝুলিতে। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে যে, গোটা ম্যাচে রীতিমতো বোলারদের দাপট দেখা গেল। বিশেষ করে পেসারদের।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। এক্ষেত্রেও জ্যাক ক্রলে খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। বেন ডকেট করেন মাত্র ২৮ রান। মিডল অর্ডারে নেমে অলি পোপ দ্বিতীয় ইনিংসেও লড়াই করেন। তাঁর সংগ্রহে ৩৩ রান।
জো রুট করেন ৮ রান, হ্যারি ব্রুক কোনও রান পাননি, অধিনায়ক বেন স্টোকস ২ রান, জেমি স্মিথ ১৫ রান এবং গাস অ্যাটকিনসন ৩৭ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। এছাড়া ব্রাইডন কার্স করেন ২০ রান, জোফ্রা আর্চার ৫ এবং মার্ক উডের ঝুলিতে ৪ রান। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৬৪ রান।
অজিদের হয়ে ৪ উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড এবং ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও ব্রেন্ডন ডগেট।
স্বাভাবিকভাবেই, অজিদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা অনেকটা কমে যায়। অতএব, খেলা শেষ দ্বিতীয় দিনেই। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্র্যাভিস হেড দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১২৩ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন। জেক ওয়েদারল্ড যোগ করেন মাত্র ২৩ রান। অপরদিকে, ল্যাবুশাং-এর ঝুলিতে ৫১ রান এবং অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ২ রানে অপরাজিত থাকেন।
অস্ট্রেলিয়া জয়ী ৮ উইকেটে। ম্যাচের সেরা মিচেল স্টার্ক।
অস্ট্রেলিয়াঃ উসমান খাওয়াজা, জ্যাক ওয়েদারল্ড, মার্নাস ল্যাবুশাং, স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ট্র্যাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারে (উইকেটকিপার-ব্যাটার), মিচেল স্টার্ক, নাথান লিয়ন, ব্রেন্ডন ডগেট, স্কট বোল্যান্ড
ইংল্যান্ডঃ বেন ডাকেট, জ্যাক ক্রলে, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার-ব্যাটার), গাস অ্যাটকিনসন, ব্রাইডন কার্স, জোফরা আর্চার, মার্ক উড
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।