রবিবার মুম্বইয়ে বিসিসিআই-এর বৈঠকে ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটারদের ফিটনেসের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভবিষ্যৎ এবং টি-২০ বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করার জন্য রবিবার মুম্বইয়ের একটি হোটেলে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি, সচিব জয় শাহ, প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অক্টোবর-নভেম্বরে ওডিআই বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে হলে ক্রিকেটারদের ইয়ো-ইয়ো টেস্ট এবং ডেক্সা টেস্টে উত্তীর্ণ হতেই হবে। চোটের জন্য বেশ কিছুদিন জাতীয় দলের বাইরে পেসার জসপ্রীত বুমরা ও অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। টি-২০ বিশ্বকাপে বুমরার অভাব অনুভব করেছে ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে এই পেসারকে ভারতীয় দলে প্রয়োজন। সেই কারণেই ফিটনেসের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিসিআই।
ডেক্সা টেস্ট হল খেলোয়াড়দের ফিটনেস খতিয়ে দেখার নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। স্পেকট্রাল ইমেজিংয়ের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের হাড়ে ক্য়ালসিয়াম-সহ নানা ধরনের উপাদান কতটা পরিমাণে রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হয়। এটাই ডেক্সা টেস্ট। ২টি এক্স-রে বিমের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের হাড়ের ঘনত্ব এবং শরীরের নির্দিষ্ট অংশের হাড়ে বিভিন্ন খনিজ পদার্থের উপস্থিতির পরিমাণ বোঝা যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে। সারা বিশ্বে ক্রীড়াবিদদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য ডেক্সা টেস্টের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শুধু খেলোয়াড়দের শরীরে মেদের পরিমাণই নির্ধারণ করা যায় না, একইসঙ্গে শরীরে ফ্যাট টিস্যু, মাসল মাস, বোন মাসের বিষয়ে খুঁটিনাটি জানা যায়। মাত্র ১০ মিনিটের এই পরীক্ষাতেই খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়।
ডেক্সা টেস্টের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ফিটনেস সংক্রান্ত স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। কারও ফিটনেসে ঘাটতি থাকলে উন্নতির বিষয়েও সাহায্য করে এই বিশেষ পরীক্ষা। ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য যে ২০ জন ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা যাতে নতুন করে চোট না পান, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে বিসিসিআই।
খেলোয়াড়রা যখন নিয়মিত ম্যাচ খেলেন এবং অনুশীলনের মধ্যে থাকেন, তখন তাঁরা হাড়ের শক্তি এবং হাড়ে খনিজ পদার্থের পরিমাণ পর্যাপ্ত পরিমাণে বজায় রাখতে সক্ষম হন। কিন্তু কোনও খেলোয়াড় চোট পাওয়ার পর যখন ফিট হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন, তখনই ফিটনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ঘাটতি দেখা দেয়। কোনও খেলোয়াড়ের ফের চোট পাওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, সেটা ডেক্সা টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায়।
আরও পড়ুন-
চালক রাখো, নিজে গাড়ি না চালানোই ভাল, ঋষভ পন্থকে বার্তা কপিল দেবের
'চাচু গেট ওয়েল সুন', ঋষভ পন্থের জন্য বার্তা রোহিত শর্মার মেয়ে সামাইরার
ভারতীয় দলে ফিরছে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট, ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য বেছে নেওয়া হল ২০ জনকে