খেলার দুনিয়ায় বর্ণবিদ্বেষকে ঘৃণ্য আচরণ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু ভারত-অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকার ঈশা গুহ বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণ করেছেন।
২০০৭-০৮ মরসুমে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা যাঁদের মনে আছে তাঁরা সিডনি টেস্টে 'মাঙ্কিগেট'-এর কথাও মনে রেখেছেন। দেড় দশকেরও বেশি সময় পর ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে 'বানর-বিতর্ক' ফিরে এল। তবে এবার মাঠে কোনও সমস্যা হয়নি। মাঠের বাইরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ঈশা গুহ বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরার প্রশংসা করতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বিশেষ প্রজাতির বানরের তুলনা করে বসেন। এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ঈশা। কিন্তু তাতে বিতর্ক থামছে না। কোনও ক্রিকেটার মাঠে এই ধরনের মন্তব্য করলে নিশ্চিতভাবেই তাঁকে নির্বাসিত করা হত। প্রশ্ন উঠছে, বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য ধারাভাষ্যকারকে কেন কালো তালিকাভুক্ত করা হবে না।
অনাবাসী বাঙালি ঈশার এ কী আচরণ!
ঈশার বাবা-মা বাঙালি। তাঁরা কলকাতা থেকে ইংল্যান্ডে চলে যান। সেই ঈশা এবার বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন। রবিবার ব্রিসবেন টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বুমরা সম্পর্কে ঈশা বলেন, 'দ্য এমভিপি- মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রাইমেট। ও একাই ভারতীয় দলের হয়ে সবকিছু করছে। এই কারণেই এই টেস্ট ম্যাচে সবাই ওর দিকে তাকিয়ে। ও ফিট কি না, সেদিকে সবার দৃষ্টি ছিল। সতীর্থদের কাছ থেকে ওর সাহায্য দরকার।' প্রাইমেট এক প্রজাতির বানর। কোনও মানুষের সঙ্গে বানরের তুলনা করা অপমান। বিশেষ করে পশ্চিমী দুনিয়ায় কাউকে বানর বলা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু সেই মন্তব্যই করেছেন ঈশা।
কী সাফাই ঈশার?
নিজের মন্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে ঈশা বলেছেন, ‘গতকাল আমি ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় এমন এক শব্দ ব্যবহার করেছি যার অনেক অর্থ হয়। আমি কাউকে আঘাত করে থাকলে ক্ষমা চাইছি। আমি সবসময় অন্যদের শ্রদ্ধা করি।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ফের পথের কাঁটা ট্রেভিস হেড, জসপ্রীত বুমরার ৫ উইকেটেও ব্রিসবেনে কোণঠাসা ভারত
ব্রিসবেনের নেটে লেগ-স্পিন বোলিং! চোট সারিয়ে অনুশীলনে ফিরেই চমক জসপ্রীত বুমরার, ভাইরাল ভিডিও
অ্যাডিলেডে জসপ্রীত বুমরার চোট গুরুতর? কী জানালেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ?