মাঠে না নেমে অনেকেই অনেকরকম মন্তব্য করে থাকেন।
চলতি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে রবিবার, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনার হিসেবে নেমে সেইভাবে রান পাননি দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আর তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন কংগ্রেস মুখপাত্র শামা মহম্মদ। রোহিত শর্মাকে কার্যত, 'মোটা খেলোয়াড়' এবং 'ব্যক্তিত্বহীন ক্যাপ্টেন' বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন তিনি।
যা নিয়ে উল্টে কংগ্রেসকেী নিশানা করেছে বিজেপি। অর্থাৎ, ২২ গজের লড়াই এবার সোজা রাজনীতির ময়দানে চলে এসেছে। এর ফলে, চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে কংগ্রেস শিবির। শেষমেষ দলের মুখপাত্রকে ওই বিতর্কিত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। যা অবশ্য পালন করেন শামা।
তবে নিজের পোস্টের জন্যে ক্ষমা চাননি শামা। তিনি দাবি করেছেন, “এটি একটি সাধারণ পোস্ট ছিল। গণতন্ত্রে কীভাবে নিজের মত প্রকাশ করা যায় না, আমি তা ভেবে রীতিমতো অবাক।”
সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি সেদিন লেখেন, “ক্রীড়াবিদ হিসেবে রোহিত শর্মা একজন মোটা খেলোয়াড়! তাঁকে ওজন কমাতে হবে এবং অবশ্যই ভারতের সবচেয়ে 'ব্যক্তিত্বহীন অধিনায়ক।”
শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেন যে, রোহিত অত্যন্ত মাঝারি মানের একজন খেলোয়াড়। তিনি ভাগ্যবান যে, ভারতের অধিনায়ক হয়ে গেছেন। তারপরই কংগ্রেসকে নিশানা করে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা জানান, “রাহুল গান্ধীর ক্যাপ্টেনসিতে যারা ৯০টি নির্বাচনে হেরেছে, তারা আবার রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেনসিকে ম্যাড়মেড়ে বলে! আমার ধারণা, দিল্লিতে ৬টি ও ৯০টি নির্বাচনে হেরে যাওয়াটা খুবই প্রভাব-প্রতিপত্তির বিষয়। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপ জেতাটা তা নয়! রোহিত শর্মার অসাধারণ ধারবাহিকতা রয়েছে খেলোয়াড় এবং ক্যাপ্টেন হিসেবে।”
তারপর থেকেই ক্রমশ অস্বস্তি বাড়তে থাকে কংগ্রেসের। সেই বিতর্ক ক্রমশ বাড়তেই শামা ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। তার প্রমাণ কংগ্রেস হাইকম্যান্ডই দেয়। তারা শামার বক্তব্যের সঙ্গে দলীয় অবস্থানের দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে। এমনকি, কংগ্রেস নেতা পবন খেরা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, “শামা মহম্মদের মতামত একান্তই তাঁর নিজেস্ব। দলের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। দল শামাকে সেই পোস্টটি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের অবদানকে সবসময় সম্মান করে কংগ্রেস।”