একদিকে ভাঙা মন! অন্যদিকে বিশ্বকাপ, ফাইনালে চোখে জল নিয়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়ালেন হার্দিক পান্ডিয়া
বেশ কিছুদিন ধরে হার্দিকের ঘর ভাঙার খবরে তোলপাড় সমাজমাধ্যম। আইপিএল হোক বা বিশ্বকাপ একটা ম্যাচেও মাঠে দেখা যায়নি স্ত্রী নাতাশাকে। তবে এখনও এই খবরে শিলমোহর পড়েনি। তবে বিশ্বকাপের সব কটা ম্যাচেই বেশ হতাশার ছবি দেকা গিয়েছে হার্দিকের মুখ জুড়ে। তবে কী সত্যিই মন ভেঙেছে খেলোয়াড়ের?
সেই দুঃখের বহিঃপ্রকাশেই যেন মাঠ দাপিয়ে বেড়ালেন শেষ দিনের ম্যাচে। একের পর এক বলে যেন নিজের উপস্থিতি আরও দৃঢ় করছিলেন হার্দিক। পুরো টুর্নামেন্টে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। করেছেন শিহরণ জাগান বোলিং। প্রত্যেক ম্যাচেই নিজের অবদান রাখতে ভোলেননি এই খেলোয়াড়। তবে শেষ দিনের ম্যাচটা একেবারেই অন্যরকম ছিল। হারা খেলা যেন একাই জিতিয়ে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩০ বলে ৩০ রান বাকি ছিল সাউথ আফ্রিকার। টানটান উত্তেজনার মাঝে ১৭তম ওভারে হার্দিকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায় রোহিত শর্মা। সেই ওভারেই ক্রিজে জমে যাওয়া ভয়ঙ্কর এনরিক ক্লাসেনকে ফিরিয়ে দিয়ে কেল্লাফতে করেন কুংফু পান্ডিয়া। এখান থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ইন্ডিয়াকে।
এরপর শেষ ওভারে এসে ৬ বলে ১৬ রান বাকি সেই অবস্থায় আবার বল করতে আসেন হার্দিক। প্রথম বলেই তুলে নেন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলারের উইকেট। অবিস্মরণীয় ক্যাচ ধরে মিলারকে ফিরিয়ে দিয়ে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন সূর্য কুমার যাদব। এরপরে চতূর্থ বলে কাগিজো রাবাডাকে ফেরান হার্দিক। এক্ষেত্রেও সেই সূর্য কুমার এবং হার্দিকের জুটি ভারতকে উইকেট এনে দেয়। এই বিশ্বকাপে হার্দিকের অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স মনে করিয়ে দেয় ২০১১ সালের যুবরাজ সিংকে। ফাইনালে হার্দিকের বোলিং পরিসংখ্যান তিন ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট।
এরপর বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে চোখে জল এসে যায়। ছলছল নয়নে সহকর্মীদের জড়িয়ে ধরেন পান্ডিয়া। এই জল যেন শুধু জিতের জল নয়, এই জলে যেন মনের মধ্যে জমে থাকা গোপন ক্ষোভও বের করে দিলেন এই জনপ্রিয় ক্রিকেটার। মন ভাঙার যন্ত্রণা আর বিশ্বকাপ জেতার আনন্দ যেন একসঙ্গে ধরা পড়ছিল হার্দিকের চোখে-মুখে।